কেনিয়ায় ভারতবিদ্বেষে রূপ নিতে পারে আদানিবিরোধী বিক্ষোভ: কংগ্রেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৭ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কেনিয়ার জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর /ছবি: এএফপি

কেনিয়ার নাইরোবির একটি বিমানবন্দর অধিগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতের আদানি গোষ্ঠী। সেই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেছে দেশটির শ্রমিক ইউনিয়ন। সেই বিক্ষোভ ভারত বিদ্বেষে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নাইরোবির জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অধিগ্রহণ করতে চায় আদানি গোষ্ঠী। এরই ধারাবাহিকতায় সেখানে সাবসিডিয়ারি বা অধীনস্ত সংস্থাও খুলেছে তারা।

আদানি গোষ্ঠীর হাতে দায়িত্ব গেলে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে, এমন আশঙ্কায় সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ধর্মঘট পালন করে কেনিয়ার শ্রমিক ইউনিয়ন। বিমান উড্ডয়ন পরিচালনাকারী কর্মী সংগঠন ‘কেনিয়া এভিয়েশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’ এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: 

আদানির প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জয়রাম রমেশ কেনিয়ায় চলমান বিক্ষোভ নিয়ে লেখেন, এটি ভারতের জন্য অবশ্যই গুরুতর উদ্বেগের বিষয়, কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানির বন্ধুত্ব এখন বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এ কারণেই কেনিয়ার বিক্ষোভ তাই সহজেই ভারত ও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে রূপান্তরিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন জয়রাম রমেশ।

জয়রাম রমেশ বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে ভারতের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম ক্ষমতা হলো ‘কোমল শক্তি’। তবে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক এই শক্তি কমিয়ে দিয়েছে। এটি বিশ্বমঞ্চে ভারতের জন্য একটি অভূতপূর্ব ব্যর্থতা।

আরও পড়ুন: 

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, কেনিয়ার শ্রমিক ইউনিয়নটি দাবি করেছে, আদানির সঙ্গে চুক্তির ফলে চাকরি হারাতে হবে অনেক কেনীয় শ্রমিককে। এতে কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ বাড়বে বিদেশি শ্রমিকদের।

কেনিয়ার সরকারকে এসব কথা জানিয়ে এই চুক্তি বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিয়ন। দেশটির সরকার বলেছে, বিমানবন্দরটি বিক্রি করা হচ্ছে না ও দেশের বৃহত্তম বিমানবন্দরের সংস্কারের চুক্তির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এর আগে, গত জুন মাসে সরকারের প্রস্তাবিত কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেনিয়ার যুবসমাজ আন্দোলনে নেমেছিল। সেসময় আদানির সঙ্গে চুক্তির স্বচ্ছতার বিষয়টিও সমালোচিত হয়েছিল।

গত মাসে বিক্ষোভকারীরা জেকেআইএ‘তে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছিল। বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল তাদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় পুলিশ।

সূত্র: দ্য হিন্দু, ইকোনমিক টাইমস

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।