মমতার ওপর গোয়েন্দা নজরদারির দাবি বিজেপির
ভারতবিরোধী শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ওপর গোয়েন্দা নজরদারির দাবি জানিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল সুপ্রিমো ভারতজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনা করছেন বলেও অভিযোগ করেছে দলটি।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় ‘নবান্ন’ ঘেরাও কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগে বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বিরোধী দল বিজেপি।
আরও পড়ুন>>
- রাজ্য সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বাংলাদেশকে অনুসরণ করা হচ্ছে: মমতা
- ‘নবান্ন’ ঘেরাও কর্মসূচির শুরুতেই পুলিশের জলকামান-টিয়ার শেল
- কলকাতায় সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি, ছাত্র সমন্বয়ক সায়ন গ্রেফতার
সেদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতার মেয়ো রোডে জনসভা থেকে মমতা ব্যানার্জী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পরিকল্পিতভাবে অশান্তি বাঁধানো হচ্ছে। এমন চললে আসাম, মণিপুর, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো তো বটেই, দিল্লি ও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। প্রয়োজন হলে আমরা আপনার গদি টলমল করে দেবো।
এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই মমতার ওপর গোয়েন্দা নজরদারির দাবি তুলেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে এই বিজেপি নেতা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যকে অশান্ত করার যে ভয়ংকর ইঙ্গিত মমতা ব্যানার্জী দিয়েছেন, এর জন্য আমি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে বলবো, তারা যেন মুখ্যমন্ত্রীর ওপর কড়া নজর রাখেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির সঙ্গে বৈঠক করছেন, সেসব বিষয়ে নজর রাখা বিশেষ জরুরি।
সুকান্ত মজুমদারের দাবি, মমতা ব্যানার্জী যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা ভারতবিরোধী শক্তির ভাষা।
আরও পড়ুন>>
- মমতার ভাতিজা অভিষেকের ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি
- ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বিল উত্থাপন করবেন মমতা
- মৌমিতা হত্যাকাণ্ড: ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করছেন বাবা-মা
মেয়ো রোডের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, উল্টো দিক থেকে কেউ কামড়াতে এলে ফোঁস করার অধিকার রয়েছে তাদের। মমতার এই মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিংসার উসকানি দিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বিরুদ্ধে হিংসার কথা বলছেন তিনি। একজন মুখ্যমন্ত্রীর সাংবিধানিক পদে বসে থেকে কর্মীদের মানুষের ওপর অত্যাচার, ফোঁস করার কথা বলছেন।
সুকান্ত আরও বলেন, ফোঁস করার কথা ভেবেই হয়তো কবি সুকুমার রায় লিখেছিলেন, ‘সেই সাপ জ্যান্ত, গোটা দুই আন তো!’ পশ্চিমবঙ্গে দুটি সাপ আছে এখন। তাদের জন্য মানুষ কী ট্রিটমেন্ট দেবে, তা-ও লিখে গেছেন কবি, ‘তেড়ে মেরে ডাণ্ডা, করে দেই ঠান্ডা।’ যারা ফোঁস করতে আসবে, তাদের এই ট্রিটমেন্ট হবে। তাই মুখ্যমন্ত্রী এবং তার ভাতিজা- দুই জ্যান্ত সাপ যতই ফোঁস করুন, রাজ্যের মানুষ শিক্ষা দেবে আপনাদের।
ডিডি/কেএএ/