ফজলে হাসান আবেদের জন্মদিনে ক্লিনটন-বিল গেটসের শুভেচ্ছা
বিশ্ববরেণ্য বাংলাদেশি সমাজকর্মী, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদের ৮০তম জন্মদিন ছিল গত ২৭ এপ্রিল (বুধবার)। ব্র্যাক শুধু বাংলাদেশেই নয় বরং এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সর্ববৃহৎ একটি বেসরকারি সংগঠন হিসেবে সুপরিচিত।
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের উন্নয়নের জন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। ২০০৭ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ লাভ করেন। দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৯ সালে ব্রিটেনের রানী তাকে `নাইটহুড` খেতাবে ভূষিত করেন।
এই অসাধারণ ব্যক্তির জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করেনি কেউ। ব্র্যাকের ফেসবুক পেজে তার জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্বের জনপ্রিয় এবং ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
দেশে-বিদেশে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষার প্রসার, নারীর ক্ষমতায়নে তাঁর সাফল্যের প্রশংসা করে স্যার ফজলের দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।
এ পর্যন্ত যাঁরা শুভেচ্ছা বাণী পাঠিয়েছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারপারসন বিল গেটস, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সারলিফ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম কিম।
বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে স্যার ফজলের ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করে বিল ক্লিনটন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘উন্নয়ন সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারণাকে আপনি আমূল পাল্টে দিয়েছেন।’
আরেক ভিডিও বার্তায় বিল গেটস বলেন, ‘ব্র্যাকের মাধ্যমে আপনি বিশ্বের অসহায় মানুষের জীবনধারায় ব্যাপক উন্নয়ন এনে দিয়েছেন। উন্নত পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে আপনার দূরদর্শিতার জন্য সালাম জানাই।’
জিম কিম বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু শিক্ষার ক্ষেত্রে আমার জীবনে দেখা সেরা নেতৃত্বদানকারীদের অন্যতম আপনি।’
যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ডেসমন্ড সোয়েইন, অষ্ট্রেলীয় সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক মন্ত্রী কনসেট্টা ফিয়েরাভান্তি ওয়েলস প্রমুখ ব্যক্তিরাও স্যার ফজলে হাসান আবেদকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
টিটিএন/আরআইপি