মমতার ভাতিজা অভিষেকের ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি কলকাতা
প্রকাশিত: ০৮:৩৪ এএম, ২৭ আগস্ট ২০২৪
মমতা ব্যানার্জীর ভাতিজা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য অভিষেক ব্যানার্জী

আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতে। এর মধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভাতিজা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য অভিষেক ব্যানার্জীর নয় বছরের মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠলো।

এক ভিডিও বার্তায় এই ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল। সেখানকার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

তৃণমূলের দাবি, ভিডিওটিতে এক যুবককে বলতে শোনা যাচ্ছে, অভিষেকের মেয়েকে ধর্ষণ করলে ১০ কোটি রুপি দেওয়া হবে। ভাইরাল ভিডিওতে যখন যুবকটি এ ধরনের বক্তব্য রাখছিলেন, ঠিক সেসময় তার আশেপাশের কয়েকজন আনন্দ প্রকাশ করেন।

এ ঘটনায় পরেই নড়েচড়ে বসে পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশন। তারা জানিয়েছে, এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে, যৌন অপরাধ বিরোধী শিশু-সুরক্ষা আইনে (পকসো) পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায় প্রতিষ্ঠানটি। অভিযুক্তকে যাতে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়, পুলিশকে সেই অনুরোধও জানিয়েছে তারা।

এদিকে, এ ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েন বলেছেন, আপনাদের নোংরা কৌশলের মাধ্যমে আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করুন। আগেও তা করেছেন। কিন্তু এবার আপনারা সব সীমা অতিক্রম করে ফেললেন। শিশুদের ভয় দেখানো বন্ধ করুন। আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মেয়েকে এই ধরনের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদ করার ভাষা নেই।

তবে বিজেপি নেতা ও কলকাতা পৌরসভার কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেছেন, অভিষেক এই ধরনের কোনো অভিযোগ করেছেন বলে শুনিনি। এমন হুমকি দেওয়ার কথা বিজেপি নেতা-কর্মীরা ভাবতেই পারেন না। অভিষেকের বুয়া ধর্ষিতাদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছে অতীতে। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে তৃণমূল নিম্নরুচির পরিচয় দিলো।

ডিডি/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।