মোদীর জনপ্রিয়তায় ধস, এখন নির্বাচন হলে কত আসন পেতো বিজেপি?
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আড়াই মাস পার হয়েছে। এবারের নির্বাচনে বস্তুত পুনর্জীবন লাভ করেছে বিরোধী দলগুলো, বিশেষ করে ভারতীয় কংগ্রেসের পুনরুত্থান ছিল অবিশ্বাস্য। পরের দিনগুলোতে বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তপ্ত ছিল ভারতের পার্লামেন্ট। সরকারের নানা পদক্ষেপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। এই সব কিছুর প্রভাব পড়েছে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার ওপর।
ইন্ডিয়া টুডের ‘মুড অব দ্য ন্যাশন’ (এমওটিএন) জরিপে দেখা গেছে, গত ছয় মাসে মোদীর জনপ্রিয়তার রেটিং অন্তত দুই শতাংশ পয়েন্ট কমেছে। তবে ২০২০ সালের আগস্টের তুলনায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসমর্থন এখন অনেকটাই কম। সেসময় এ বিজেপি নেতার জনপ্রিয়তার রেটিং সর্বোচ্চ ৭৮ পয়েন্টে পৌঁছেছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে এর হার ছিল ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বর্তমানে তা আরও কমে ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন>>
- ত্রিপুরায় বাঁধ খুলে দিলো ভারত, হু হু করে পানি ঢুকছে বাংলাদেশে
- আমরা বাঁধের মুখ খুলিনি, একা একা খুলে গেছে: ভারত
- বাংলাদেশসহ ১৩ দেশে কমেছে প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি, ক্ষতির শঙ্কায় ভারত
জরিপে আরও দেখা গেছে, ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ব্যবধান অনেকটা কমিয়ে এনেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক্ষেত্রে মোদীর পক্ষে সায় দিয়েছেন ৪৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। আর রাহুল গান্ধীকে পছন্দ করেছেন ২২ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ।
অর্থাৎ, গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় মোদীর জনসমর্থন ছয় শতাংশ পয়েন্ট কমেছে, বিপরীতে রাহুলের জনসমর্থন বেড়েছে আট শতাংশ পয়েন্ট।
‘মুড অব দ্য ন্যাশন’ জরিপে আরও বলা হয়েছে, যদি এই মুহূর্তে নির্বাচন হতো, তাহলে বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) আসন সংখ্যা প্রায় অপরিবর্তিতই থাকতো। তবে ১০০ আসনের মাইলফলক পেরিয়ে যেতো বিরোধী দল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন>>
- বাংলাদেশে অস্থিরতায় ‘লালবাত্তি’ কলকাতা নিউমার্কেটে
- চিকিৎসার জন্য ভারত যাওয়া কমেছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত
- বাংলাদেশে অস্থিরতার জেরে ভারতে ইলিশের সংকট, দামে আগুন
জরিপ বলছে, এখন নির্বাচন হলে এনডিএ জোটের আসন ছয়টি বেড়ে ২৯৯-এ পৌঁছাতো। আর বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার আসন একটি কমে দাঁড়াতো ২৩৩।
গত ১৫ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ভারতের সব কয়টি লোকসভা আসনের ৪০ হাজার ৫৯১ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়। জরিপ পরিচালনার দায়িত্বে ছিল সিভোটার নামে একটি সংস্থা।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
কেএএ/