ভারত
নার্সারি স্কুলে ২ শিশুকে যৌন হয়রানি, উত্তপ্ত মহারাষ্ট্র
কলকাতায় চিকিৎসক তরুণী ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে গোটা ভারত যখন উত্তাল, তার মধ্যেই এবার সামনে এলো চার বছরের দুই শিশুকে স্কুলের ভেতর যৌন হয়রানির খবর। অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের একটি স্কুলের টয়লেটে ওই দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছেন একজন পুরুষ পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বদলাপুর রেলস্টেশনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন অসংখ্য মানুষ। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখন পুলিশের দিকে পাল্টা ইট-পাথর ছোড়ে উত্তেজিত জনতা। এসময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা।
আরও পড়ুন>>
- আন্দোলনে উত্তাল ভারতে এবার বাসের মধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ভারতে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, স্কুলভ্যান চালক গ্রেফতার
- ভারতে এক বছরে ২০ হাজার কন্যাশিশুকে ধর্ষণ
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এদিন সকালে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বদলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় করে এবং ট্রেন চলাচলে বাধা দেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে, যার ফলে ট্রেন চলাচল এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।
এর মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ে, ভুক্তভোগী শিশুদের বাবা-মা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তাদের ১১ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়েছিল। এই খবর প্রতিবাদীদের আরও ক্ষুব্ধ করে তোলে।
অভিযোগ, গত ১৬ আগস্ট স্থানীয় একটি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের টয়লেটে ওই দুই শিশুকে যৌন নির্যাতন করেন ২৩ বছর বয়সী পরিচ্ছন্নতাকর্মী। এরই মধ্যে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন>>
- ভারতে এবার পার্টি থেকে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার তরুণী
- যে ঘটনায় উত্তাল ভারত, কী হয়েছিল চিকিৎসক তরুণীর সঙ্গে?
- চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা, সাবেক অধ্যক্ষ আটক
স্কুলের অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত এবং শ্রেণি শিক্ষক ও আয়াকে চাকরিচ্যুত করেছে স্কুল প্রশাসন। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকেও।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, স্কুলটিতে বেশ কয়েক ধাপে নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল। সেখানে ছাত্রীদের টয়লেটে কোনো নারী পরিচারিকা ছিলেন না। এমনকি, স্কুলের অনেক সিসিটিভি ক্যামেরাও কাজ করছিল না।
এ ঘটনায় একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস। মামলার বিচারের জন্য দ্রুত বিচার আদালতে প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে।
কেএএ/