ভারতে মা-বোনদের ওপর অত্যাচারে উদ্বিগ্ন মোদী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে মা-বোনদের ওপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মোদী বলেন, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেয়েরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু কিছু উদ্বেগের বিষয়ও রয়েছে। আমি আজ লালকেল্লা থেকে আমার যন্ত্রণার কথা বলতে চাই।

তিনি বলেন, নারীদের উপর অত্যাচার নিয়ে আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবনা চিন্তা করা উচিত। এগুলোর বিরুদ্ধে গোটা দেশ ক্ষোভ জানাচ্ছে। আমি ক্ষোভের বিষয়টি বুঝতে পারছি। এই দেশ, সমাজ এবং রাজ্য সরকারকে গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখা উচিত।

কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার কথা উল্লেখ না করলেও মনে করা হচ্ছে, কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা এবং এর বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী তার ভাষণে আরও বলেন, যারা নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ করছেন, তাদের দ্রুত এবং কঠোর শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। এতে সমাজে আস্থা ফিরবে।

এদিকে আরজি কর মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মৌমিতা দেবনাথকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গসহ পুরো ভারত উত্তাল হয়ে উঠেছে। বুধবার রাতভর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। কলকাতাসহ পুরো পশ্চিমবঙ্গে রাতভর এমন বিক্ষোভের ঘটনা এর আগে কেউ দেখেনি।

মৌমিতা দেবনাথকে পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের পর খুন করা হয়। এই ঘটনায় কলকাতাসহ পুরো পশ্চিমবঙ্গের নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বুধবার রাতে রাজ্যের সব রাজপথের দখল নেন নারীরা। সে সময় তাদের হাতে ছিল মোমবাতি, মশাল এবং প্ল্যাকার্ড। হাজার হাজার নারীর সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গেছে পুরুষদেরও।

রাত যত বাড়তে শুরু করেছে প্রতিবাদী মানুষের ভিড়ও তত বেড়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানার নয়, প্রতিবাদে-স্লোগানে মুখর হচ্ছে পুরো পশ্চিমবঙ্গ। তাদের মুখে একটাই স্লোগান 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। রাজ্যজুড়ে একটাই দাবি শাস্তি চাই, কঠিন শাস্তি।

মধ্যরাতে কলকাতা শহরের মেয়েদের ‘রাত দখলের’ কর্মসূচিতে রাজ্যজুড়ে দিকে দিকে চলছিল মিছিল। তার মধ্যেই আচমকাই তুলকালাম কান্ড ঘটে গেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। একদল লোক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল এই ভাঙচুর চালায় বলে জানা গেছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।