রাশিয়ার এক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণের দাবি ইউক্রেনের
রাশিয়ার এক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। কিয়েভের শীর্ষ কমান্ডারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তাদের সৈন্যরা রাশিয়ার এক হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। তবে তারপর থেকেই বেশ চাপে ছিল কিয়েভ। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়ার সীমান্তে প্রবেশ করে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের কমান্ডার ওলেকসান্দর সিরস্কি বলেছেন, কুরস্ক অঞ্চলে অভিযান অব্যাহ রেখেছে কিয়েভে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে সেখানে অভিযান চালায় ইউক্রেনের সৈন্যরা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া অন্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে কিন্তু সংঘাত এখন রাশিয়ার দিকেই যাচ্ছে।
এর আগে গত শনিবার (১০ আগস্ট) রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে হামলার কথা স্বীকার করেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। সে সময় তিনি জানান, ইউক্রেনের সেনাদের প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে রুশ বাহিনী।
পরিস্থিতি বিবেচনায় গত শনিবার ইউক্রেনের তিন সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে রাশিয়া। এদিকে মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ ইউক্রেন সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েন করেছে। বেলারুশের অভিযোগ, ইউক্রেন তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুরস্ক অঞ্চলে তারা শনিবার রাতে ইউক্রেনের ১৪টি ড্রোন ও ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। এর বাইরে রাশিয়ার অন্য অঞ্চলে হামলায় ব্যবহৃত ইউক্রেনের আরও ১৮টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
সামরিক বিশেষজ্ঞদের চোখে রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের আকস্মিক এই হামলা ক্রেমলিনের দুর্বলতা সামনে এনেছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একে বড় ধরনের উসকানি হিসেবে দেখছেন।
- আরও পড়ুন:
- পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন, রাশিয়া-ইউক্রেনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
- সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া
রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চল থেকে ইতোমধ্যেই হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুতিনের সঙ্গে
অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কুরস্ক অঞ্চলের গভর্নর অ্যালেক্সেই স্মিরনভ জানান, ইউক্রেনীয় বাহিনীর কাছে ২৮টি গ্রামের পতন ঘটেছে। সেখানে ১২ জন নিহত হয়েছে এবং পরিস্থিতি এখনও বেশ কঠিন অবস্থায় রয়েছে। গত মঙ্গলবার ওই অঞ্চলে আকস্মিক হামলা চালায় ইউক্রেনীয় সৈন্যরা।
টিটিএন