অবশেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানালেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪২ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৪
জো বাইডেন। ফাইল ছবি: এএফপি

গত মাসে হঠাৎ করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জো বাইডেন। যদিও স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ এবং প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার জেরে নিজ দলের ভেতরেই তীব্র চাপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। তবু শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। কিন্তু প্রথমে নিজে তৃতীয়বারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনার পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন বাইডেন।

গত ২১ জুলাই ৮১ বছর বয়সী এ নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা দেন, তিনি আর নির্বাচন করবেন না। তার পরিবর্তে হোয়াইট হাউজ দখলের জন্য লড়বেন কমলা হ্যারিস

আরও পড়ুন>>

এরপর থেকে আর খুব বেশি কথা শোনা যায়নি মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে। অবশেষে গত বুধবার সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি রোববার (১১ আগস্ট) প্রচার করা হয়েছে।

সেখানে বাইডেন বলেছেন, যখন আমি প্রথমবার (প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে) লড়েছিলাম, আমি নিজেকে একজন ট্রানজিশন প্রেসিডেন্ট ভাবতাম। এখন আমি বলতেও পারি না আমার বয়স কত- এটি মুখ দিয়ে বের করা কঠিন।

এসময় নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়া একটি মহান সম্মানের বিষয়। আমি মনে করি, আমি যা পারি তা করার জন্য দেশের প্রতি আমার একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমাদের অবশ্যই ট্রাম্পকে হারাতে হবে।

নির্বাচনের পর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। সেসময় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে কি না জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, ট্রাম্প যদি হেরে যান, তাহলে আমি (শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরের ব্যাপারে) মোটেও আত্মবিশ্বাসী নই। তিনি যা বলেন, সেটাই করেন। অর্থাৎ, ‘আমরা নির্বাচনে হারলে রক্তগঙ্গা বইবে’- এ ধরনের যত কথা ট্রাম্প বলেছিলেন, সেগুলো করার জন্যই বলেছিলেন।

এনডিটিভি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।