গাজায় স্কুলে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দা-উদ্বেগ
গাজার একটি স্কুলে শনিবার (১০ আগস্ট) ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাতিসংঘ।
ইসরায়েলের এই হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পার্টির পার্থী কমলা হ্যারিসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফিল গর্ডন।
তিনি বলেছেন, শনিবার গাজার স্কুলগুলোতে ইসরায়েলের হামলায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক ক্ষতি কমানোর জন্য অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা অ্যাকশন ফর হিউম্যানিটি বলেছে, গত সাত দিনে গাজার সাতটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের উচিত, ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া। কারণ এসব অস্ত্র ব্যবহার করে নেতানিয়াহু বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে।
ইসলামিক রিলিফ নামে আরেকটি ব্রিটিশ সংগঠন বলেছে, স্কুলের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক ডজন বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে। আমরা সেখানে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোতে প্রতিদিন খাবার বিতরণ করেছি। হামলার পর থেকে আমরা আতঙ্কিত। বেসামরিক নাগরিকদের সাহায্য প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি স্কুলগুলোতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপর হামলা করার ইসরায়েলি নীতি সম্পূর্ণ অমানবিক।
ইসরায়েলের এ হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ওয়াশিংটসভিত্তিক বৈদেশিক সাহায্য এবং উন্নয়ন সহায়তা সংস্থা (ইউএসএআইডি)। সংস্থাটির পরিচালক সামান্থা পাওয়ার বলেন, গাজায় আবারও একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে, যা হৃদয় বিদারক। ইসরায়েলকে বেসামরিক হত্যা রোধে যা যা করা দরকার, তা কার্যকরভাবে করতে হবে।
ইসরায়েলের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী আহমেদ হুসেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে।
এদিকে, গাজায় স্কুলে এমন নির্মম হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী টর ওয়েন্সল্যান্ড। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকরা প্রতিদিন সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তার মধ্যেই হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি হলে গাজাবাসী কিছুটা স্বস্তি পাবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরসহ অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশের চাপে ফের যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল। মধ্যস্থতাকারী এসব দেশ হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের ১৫ আগস্ট থেকে আবারও আলোচনা শুরুর জন্য চাপ দেয়।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ