১৫ আগস্ট ইসরায়েল-হামাস জরুরি বৈঠকের আহ্বান
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের হস্তান্তরের জন্য আগামী ১৫ আগস্ট হামাস-ইসরায়েলকে জরুরি বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছে উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। পাশাপাশি যেসব ইস্যুতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বিরোধ রয়েছে, ১৫ আগস্টের বৈঠকে সেসব দূরত্ব মিটিয়ে ফেলার চুড়ান্ত আলোচনা করার আহ্বানও দু’পক্ষকে জানিয়েছেন দেশগুলো।
মধ্যস্থতাকারীদের এই আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই বৈঠকের বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই চুক্তির কাঠামো চুড়ান্ত কতে ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
তবে হামাস থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মধ্যস্থতাকার তিন দেশের কর্মকর্তারা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি কাঠামো গঠিত হয়েছে। তবে এর বিস্তারিত রূপ ও প্রয়োজনীয় শর্তগুলো এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। চুক্তিটি সম্পূর্ণ করতে হলে দুই পক্ষের আলোচনায় বসা প্রয়োজন।
তিন দেশের কর্মকর্তারা বলেন, চুক্তিটি সম্পূর্ণ করার জন্য আগামী ১৫ আগস্ট অবশ্যই দুই পক্ষকে জরুরিভিত্তিতে আলোচনায় বসতে হবে। এখন আর অজুহাত তোলা বা দেরি করার মতো সময় নেই। এখন জিম্মিদের মুক্ত করার, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার ও শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানোর সময়। মিসরের রাজধানী কায়রো কিংবা কাতারের রাজধানী দোহায় এই বৈঠক হতে পারে।
গত ৭ অক্টোবর ইসলায়েলের ভূখণ্ডে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার পর সেদিন রাত থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন মানুষ, সেই সঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিলেন হামাস যোদ্ধারা।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর গত ১০ মাসের অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন ১ লাখের ওপর এবং গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স
এসএএইচ