শেখ হাসিনার পদত্যাগ-পলায়নে কলকাতায় বিজয় মিছিল

ধৃমল দত্ত
ধৃমল দত্ত ধৃমল দত্ত , পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:৩৪ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০২৪

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের খবরে বিজয় মিছিল হয়েছে কলকাতায়। সোমবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ হাসিনা বাংলাদেশের মাটি ছাড়তেই কলকাতার নিউ মার্কেট চত্বরে উচ্ছ্বাস ও বিজয় মিছিলে শামিল হন কলকাতায় ভ্রমণ করতে আসা বাংলাদেশিদের একাংশ।

এ সময় নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়। ওই বিজয় মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে আমার ভাই, তোমার ভাই, মরলো কেনো, শেখ হাসিনা জবাব চাই।

এক উচ্ছাসকারী ব্যক্তি জানান, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ছাত্র সমাজের দাবির মুখে পদত্যাগ করে পালিয়ে গেছে। এই স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনা অত্যাচার করেছে, হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা গুলি করে আমাদের ছাত্র সমাজকে প্রতিহত করতে চেয়েছে, কিন্তু ছাত্রসমাজ গুলিকে ভয় পায় না। আমরা আজ খুশি, আমরা আরও বেশি খুশি হবো যদি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে তার বিচার করা হয়।

কলকাতায় বেড়াতে আসা চট্টগ্রামের বাসিন্দা মুন্নি নামের এক নারী জানান আমাদের আজকে ঈদের মতো খুশির দিন কারণ শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলো। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকদিন যুদ্ধ করে লড়াই করে এই দিনটাকে নিয়ে এসেছে।

এদিকে বাংলাদেশের এই চলমান পরিস্থিতির কারণে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে বিএসএফ। পেট্রাপোল, ফুলবাড়ী সীমান্তে মোতায়েন সেনার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এদিনই বিএসএফ'এর অপারেশনাল প্রস্তুতি ও কৌশলগত মোতায়েন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সুন্দরবনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন করেন বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী (আইপিএস), অতিরিক্ত ডিজি রবি গান্ধী, মহাপরিদর্শক (দক্ষিণবঙ্গ) মনিন্দর প্রতাপ সিং সহ বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।

তাছাড়া বাংলাদেশে অচল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সকলকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমি সকলকে শান্ত ও সুস্থ থাকতে বলবো। কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। এখনো অনেকে আটকে রয়েছেন। এটা বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকার দেখে নেবে। ভারত সরকার যেভাবে বলবে আমরা সেভাবেই কাজ করবো। আমি সব রাজনৈতিক দল ও সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষদের কাছে অনুরোধ করছি এমন কোন কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করবেন না, যাতে এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় বা কোন হিংসা বা প্ররোচনা তৈরি হতে পারে। সকলেই আমাদের ভাই, বোন এটা মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশের ঘটনায় আমরা সকলেই উদ্বিগ্ন।

মমতা আরও বলেন, বাংলাদেশ একটা রাষ্ট্র ভারতও একটা রাষ্ট্র। কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্রে যদি কিছু হয় তার একটা প্রভাব পড়ে তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। সেক্ষেত্রে শান্ত থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে।

ডিডি/এমএসএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।