ভারতের ‘ভিসা মন্দির’

যেখানে গেলেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিশ্চিত, বিশ্বাস ভক্তদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, ০১ আগস্ট ২০২৪
ভারতের বালাজি মন্দির। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে এমন এক মন্দির রয়েছে, যেখানে প্রার্থনা করলেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর স্বপ্ন পূরণ হয়ে যায়! মিলে যায় মার্কিন ভিসা! অন্তত ভক্তদের এমনটাই বিশ্বাস। আর সেই বিশ্বাস থেকেই কথিত ‘ভিসা মন্দির’-এ প্রতিদিন হাজির হন হাজারও মানুষ।

হায়দরাবাদের চিলকুরে অবস্থিত ভেঙ্কটেশ্বরের এই মন্দির। এটিকে বালাজির মন্দিরও বলেন অনেকে। ভক্তদের দাবি, ভিসা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নিয়ে এই মন্দিরে এসে প্রার্থনা করলে মুহূর্তেই সমাধান হয়ে যায়।

আরও পড়ুন>> 

সাতভিকা কোন্ডাদাসুলা নামে এক ভক্ত বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আমার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই এখানে এসেছিল।

২২ বছর বয়সী ওই তরুণী জানান, নিউইয়র্কে যাওয়া তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এ সপ্তাহেই সেই স্বপ্ন পূরণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাবেন তিনি। সেখানে মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করতে যাবেন সাতভিকা। আর এই ভিসাপ্রাপ্তির জন্য দেবতা বালাজির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছিলেন তিনি।

তরুণী বলেন, আমি অবশ্যই আমার যোগ্যতার জন্য ভিসা পেয়েছি। কিন্তু আমার কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদও ছিল। আমি বিশ্বাস করি, এখানে আসায় আমার উপকার হয়েছে।

আরও পড়ুন>>

মনে করা হয় এই মন্দিরটি ৫০০ বছরের পুরোনো। যারা এই মন্দিরে যান, তারা দেবতাকে ১১ বার প্রদক্ষিণ করেন। প্রদক্ষিণের সময়ই তারা দেবতার কাছে মনোবাসনা প্রকাশ করেন। এরপরে, পূজার সময় পাসপোর্ট দেবতার মূর্তির সামনে রাখেন। ইচ্ছা পূরণ হলে ভক্তদের আবারও মন্দিরে আসতে হয় এবং ১০৮ বার দেবতাকে প্রদক্ষিণ করতে হয়।

কীভাবে শুরু হয়েছিল এই প্রথা

এ প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক বছর আগে একদল কলেজশিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভিসা পেতে সমস্যায় পড়েন তারা। এরপর এই মন্দিরে এসে প্রার্থনা করেন শিক্ষার্থীরা। তারপরেই ভিসা পেয়ে যান সবাই। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে অন্যরাও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার আশায় বালাজির মন্দিরে ভিড় করতে থাকেন।

সূত্র: এএফপি, টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।