হানিয়াকে হত্যা, কী বলছে হামাস?
হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যু ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির জন্য একটি বড় ধাক্কা। তাকে ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম। ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনী বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসমাইল হানিয়া তার এক দেহরক্ষীসহ তেহরানে নিহত হয়েছেন।
এদিকে হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা অঙ্গীকার করেছেন যে, হানিয়া হত্যার জবাব দেওয়া হবে। মুসা আবু মারজুক নামের ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে হামাস-নিয়ন্ত্রিত আল আকসা টেলিভিশন চ্যানেলে ওই হামলা ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কোরের সেপাহ নিউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তেহরানে হামাস ইসলামিক রেজিস্ট্যান্সের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে হামলা চালানো হয়। এতে তিনি এবং তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তেহরানে এক ইসরায়েলি হামলায় ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন।
- আরও পড়ুন:
- ইরানে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত
- লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের হামলা
- ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে রকেট হামলা, নিহত ১২
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ইসরায়েল এর আগে হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ইরানের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পরই হামলায় নিহত হয়েছেন ইসমাইল হানিয়া।
ফিলিস্তিনের একটি শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন হামাসের এই শীর্ষ নেতা। ১৯৮৯ সালে ইসরায়েল তাকে তিন বছর বন্দী করে রাখে। এরপর তাকে মারজ আল-জুহুর নামের ইসরায়েল এবং লেবাননের মধ্যকার একটি নো-ম্যানস-ল্যান্ডে নির্বাসিত করা হয়। সেখানে তিনি ১৯৯২ সালে বেশ কয়েকজন হামাস নেতার সঙ্গে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে একটি বছর কাটিয়েছেন।
এরপর তিনি গাজায় ফিরে আসেন এবং ১৯৯৭ সালে হামাস আন্দোলনের আধ্যাত্মিক নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের অফিসের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন, যা তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। ২০১৭ সালের ৬ মে থেকে তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
- আরও পড়ুন:
- হিজবুল্লাহকে চরম মূল্য দিতে হবে: নেতানিয়াহু
- হিজবুল্লাহর একাধিক টার্গেটে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
হামাস বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, আমাদের ভাই, নেতা, মুজাহিদ ইসমাইল হানিয়া, আন্দোলনের প্রধান তেহরানে তার সদর দপ্তরে ইহুদিবাদী আগ্রাসনে নিহত হয়েছেন।
টিটিএন