ইরানে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত
হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম। ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনী বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসমাইল হানিয়া তার এক দেহরক্ষীসহ তেহরানে নিহত হয়েছেন।
ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কোরের সেপাহ নিউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তেহরানে হামাস ইসলামিক রেজিস্ট্যান্সের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে হামলা চালানো হয়। এতে তিনি এবং তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তেহরানে এক ইসরায়েলি হামলায় ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের ভাই, নেতা, মুজাহিদ ইসমাইল হানিয়া, আন্দোলনের প্রধান তেহরানে তার সদর দপ্তরে ইহুদিবাদী আগ্রাসনে নিহত হয়েছেন। তিনি ইরানের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
- আরও পড়ুন
- লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের হামলা
- লেবাননে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
- ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে রকেট হামলা, নিহত ১২
এর আগে গত এপ্রিলে ঈদের দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হন। গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থী শিবিরে ওই হামলা চালানো হয়। এতে হামাস নেতা হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ এবং তার অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন।
ইসরায়েলের হামলায় হানিয়ার পরিবারের আরও সদস্য এর আগে নিহত হয়েছেন। তার আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এছাড়া গত নভেম্বরে নিহত হন তার এক নাতি।
এদিকে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বলছে, হামলার ঘটনাটি এখনো পরিষ্কার নয়। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। ইসমাইল আবদেল সালাম হানিয়ার ডাক নাম আবু আল-আবদ। তিনি ফিলিস্তিনের একটি শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮৯ সালে ইসরায়েল তাকে তিন বছর বন্দী করে রাখে। এরপর তাকে মারজ আল-জুহুর নামের ইসরায়েল এবং লেবাননের মধ্যকার একটি নো-ম্যানস-ল্যান্ডে নির্বাসিত করা হয়। সেখানে তিনি ১৯৯২ সালে বেশ কয়েকজন হামাস নেতার সঙ্গে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে একটি পুরো বছর কাটিয়েছেন।
- আরও পড়ুন:
- ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে রকেট হামলা, নিহত ১২
- হিজবুল্লাহকে চরম মূল্য দিতে হবে: নেতানিয়াহু
- হিজবুল্লাহর একাধিক টার্গেটে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
এরপর তিনি গাজায় ফিরে আসেন এবং ১৯৯৭ সালে হামাস আন্দোলনের আধ্যাত্মিক নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের অফিসের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন, যা তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। ২০১৭ সালের ৬ মে থেকে তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
টিটিএন