বাংলাদেশে ৪ দিনে ভিপিএন ব্যবহার বেড়েছে ৫ হাজার শতাংশ

খান আরাফাত আলী
খান আরাফাত আলী খান আরাফাত আলী , সহ -সম্পাদক , আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫১ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২৪
বেড়েছে ভিপিএনের ব্যবহার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে গত সপ্তাহের ইন্টারনেট বিভ্রাট ও সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের সময় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএনের ব্যবহার বেড়েছে অবিশ্বাস্যভাবে। ভিপিএন রিভিউ বিষয়ক ওয়েবসাইট ভিপিএনমেন্টরের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে মাত্র চারদিনের ব্যবধানে ভিপিএনের ব্যবহার পাঁচ হাজার শতাংশের বেশি বাড়তে দেখা গেছে।

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৮ জুলাই ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাত ৯টার দিকে সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর পাঁচদিন পর ২৩ জুলাই রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে চালু হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। তবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধই ছিল। টানা ১০ দিন পর গত ২৮ জুলাই চালু হয় সেটিও।

আরও পড়ুন>>

কিন্তু এখনো বন্ধ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো। সেগুলো কবে চালু হবে, তা নিশ্চিত নয়। এ অবস্থায় অনেকেই ভিপিএনের সাহায্যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে সক্রিয় হচ্ছেন।

ভিপিএনমেন্টরের তথ্যমতে, গত ২২ জুলাই থেকে বাংলাদেশে ভিপিএনের ব্যবহার দ্রুত বাড়তে থাকে এবং ২৫ জুলাই তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে ভিপিএন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছিল ৫ হাজার ১৬ শতাংশ।

তবে এরপর ধীরে ধীরে সেটি কমতে থাকে। কিন্তু এখনো বাংলাদেশে ভিপিএন ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ২ হাজার ৫০০ শতাংশ বেশি বলে জানাচ্ছে ভিপিএনমেন্টর।

vpnবাংলাদেশে বেড়েছে ভিপিএনের ব্যবহার। ছবি: ভিপিএনমেন্টর

ইন্টারনেট বিভ্রাট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিধিনিষেধের জেরে সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য দেশেও হঠাৎ করে ভিপিএনের ব্যবহার বাড়তে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন>>

গত মার্চে বিরোধী দলের একটি বিক্ষোভের আগের দিন স্পেনে ভিপিএনের ব্যবহার বেড়েছিল ৩৩০ শতাংশ। দুই সপ্তাহ পরে টেলিগ্রাম অ্যাপ সাময়িক নিষিদ্ধ করা হলে দেশটিতে আবারও ভিপিএনের ব্যবহার বেড়ে যায় ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৬০ কোটি মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করছেন, যা মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার প্রায় ৩১ শতাংশ।

জরিপ বলছে, ব্যবহারকারীদের ভিপিএনে আগ্রহী হওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাড়ানো। ৬৬ শতাংশ ব্যবহারকারীই ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ভিপিএন ব্যবহার করেন।

তবে এদের বেশিরভাগই অর্থ খরচের পরিবর্তে ফ্রি ভিপিএনে ঝুঁকছেন। এ ধরনের ভিপিএনে গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: ভিপিএনমেন্টর, ফোর্বস
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।