কেন ভিপিএনে ঝুঁকছে মানুষ?

খান আরাফাত আলী
খান আরাফাত আলী খান আরাফাত আলী , সহ -সম্পাদক , আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২৪
ভিপিএন। ছবি সংগৃহীত

নিজের পরিচয় লুকিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন। বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৬০ কোটি মানুষ এটি ব্যবহার করছে, যা মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার প্রায় ৩১ শতাংশ।

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্যমতে, বর্তমানে ব্যবসার তুলনায় ব্যক্তিগত পর্যায়েই ভিপিএনের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। বর্তমানে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ভিপিএন ব্যবহার করছে ৭৭ শতাংশ মানুষ। ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাড়াতে এবং নির্দিষ্ট এলাকার জন্য সীমাবদ্ধ বিভিন্ন স্ট্রিমিং সার্ভিস ও কন্টেন্টের অ্যাকসেস পেতেই তারা ভিপিএনে বেশি ঝুঁকছেন। 

আরও পড়ুন>>

জরিপ বলছে, ব্যবহারকারীদের ভিপিএনে আগ্রহী হওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাড়ানো। ৬৬ শতাংশ ব্যবহারকারীই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ভিপিএন ব্যবহার করেন। বিপরীতে, নিয়োগদাতা বা অফিসের তথ্য সুরক্ষায় ভিপিএন ব্যবহার করেন মাত্র ছয় শতাংশ ব্যবহারকারী।

১৬ শতাংশ ব্যহারকারী জানিয়েছেন, নিয়োগদাতার বাধ্যবাধকতার কারণে তারা ভিপিএন ব্যবহার করছেন।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশই বলেছেন, তারা সুরক্ষা বাড়াতে ভিপিএনে আগ্রহী হয়েছেন।

৩৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা নিজেদের ইন্টারনেট কার্যক্রম গোপন রাখতে ভিপিএন ব্যবহার করেন।

এনক্রিপশন বাড়ানোর লক্ষ্যে ভিপিএন ব্যবহার করেন ১৮ শতাংশ ব্যবহারকারী। টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের জন্য ভিপিএন ব্যবহার করেন ৩০ শতাংশ মানুষ।

আর বিজ্ঞাপনের জ্বালাতেন থেকে মুক্তি পেতে ভিপিএন ব্যবহার করেন ছয় শতাংশ মানুষ।

৪৬ শতাংশ ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন স্ট্রিমিং সার্ভিসের অ্যাকসেস পেতে ভিপিএন ব্যবহার করেন।

১৬ শতাংশ মানুষ বলেছেন, টরেন্টের সাহায্যে কোনো কিছু ডাউনলোড করার সময় তারা ভিপিএন ব্যবহার করেন।

অঞ্চল-নিষিদ্ধ বিনোদন কন্টেন্টের অ্যাকসেস পেতে ভিপিএন ব্যবহার করেন ২৬ শতাংশ ব্যবহারকারী।

এছাড়া, পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারের সময় নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ভিপিএন ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন ৪২ শতাংশ মানুষ।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।