এশিয়া সফরে ব্লিঙ্কেন, পা রাখলেন লাওসে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫০ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৪
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন/ ছবি: এএফপি

এশিয়া সফরে বেরিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সফরের শুরুতেই স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে তিনি লাওসে পা রেখেছেন। এশিয়ার ছয়টি দেশে সফর করবেন এই শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক। এই অঞ্চলে ক্রমাগত চীনের প্রভাব বাড়ছে। এশিয়ার দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়েই তার এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়ানে তিনি বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে মিয়ানমার এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে সেসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

স্থানীয় সময় শনিবার ভিয়েনতিয়ানে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্লিঙ্কেন। সাম্প্রতিক সময়ে মস্কোর সঙ্গে বেইজিংয়ের গভীর সম্পর্ক এবং দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ওয়াশিংটন বেশ উদ্বিগ্ন।

অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনসনসের (আসিয়ান) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের ফাঁকে প্রায় এক ঘণ্টার জন্য তাদের মধ্যে বৈঠক হবে। মার্কিন কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে যে, উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এমন কিছু বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করবেন।

তিন বছরেরও বেশি সময় আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ নিয়ে ১৮ বারের মতো এশিয়ায় সফর করছেন ব্লিঙ্কেন। এই সফরে তিনি লাওস ছাড়াও ভিয়েতনাম, জাপান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর এবং মঙ্গোলিয়ায় সফর করবেন।

মাত্র দুদিন আগেই চীন এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভ। মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউরেশিয়ার জন্য একটি নতুন নিরাপত্তা স্থাপত্য নির্মাণের বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

তারা যৌথভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য অতিরিক্ত-আঞ্চলিক শক্তির যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে একত্রে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।

রাশিয়ার সঙ্গে চীনের শক্তিশালী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব রয়েছে। অপরদিকে ন্যাটো সদস্যরা বেইজিংকে ইউক্রেনের যুদ্ধে মস্কোর জড়িত থাকার মূল সহায়ক দেশ হিসেবে উল্লেখ করে আসছে।

এছাড়া বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করেও যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বেইজিংয়ের দাবি দক্ষিণ চীন সাগরে হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

টিটিএন 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।