বিশ্ব মিডিয়ায় গুরুত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে সহিংসতা
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। আল-জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, আনাদোলু এজেন্সি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) মতো প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ও বার্তা সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের খবর।
বিশেষ করে, গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ছয়জন নিহত এবং তারপর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আসলে সেই খবর জায়গা করে নেয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা, তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, বার্তা সংস্থা রয়টার্স, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস, ভয়েস অব আমেরিকা, বার্তা সংস্থা এপি, জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়েচে ভেলে, ভারতের এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ইন্ডিয়া টুডে, হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য টেলিগ্রাফ, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেকান হেরাল্ড, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন প্রভৃতি।
এর মধ্যে আল-জাজিরা, রয়টার্স, এপি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ডেকান হেরাল্ডের মতো সংবাদমাধ্যমগুলো কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন করেছে। তাতে উঠে এসেছে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা-সহিংসতা, প্রাণহানি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের খবর।
আল-জাজিরার সবশেষ প্রতিবেদনটিতে শিরোনাম করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ডিফাই অর্ডারস, অক্যুপাই ইউনিভার্সিটিস অ্যাজ টেনশনস স্পাইরাল’, অর্থাৎ ‘আদেশ অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দখলে নিলো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা, বাড়ছে উত্তেজনা’।
বিবিসির প্রতিবেদনে শিরোনাম করা হয়েছে, ‘ডেডলি আনরেস্ট ওভার জব কোটাস গ্রিপস বাংলাদেশ’, যার অর্থ- চাকরির কোটা নিয়ে মারাত্মক অস্থিরতা বাংলাদেশকে গ্রাস করেছে।
রয়টার্স তাদের সবশেষ প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশ শাটস ইউনিভার্সিটিস, কলেজেস ইনডেফিনেটলি বাট প্রোটেস্টস মাউন্ট’ (বাংলাদেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ বন্ধ করে দিয়েছে, কিন্তু বিক্ষোভ বাড়ছে)।
Bangladesh has deployed a paramilitary force to try to quash student protests against "quotas for government jobs that were recently reinstated after being abolished in 2018 following another countrywide student protest." https://t.co/XPFnBvDoLP
— Kenneth Roth (@KenRoth) July 17, 2024
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঝড় তুলেছে বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন। ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) কয়েকদিন ধরেই ট্রেন্ডিং ‘কোটা রিফর্ম প্রোটেস্ট’, ‘কোটা মুভমেন্ট’, ‘স্টুডেন্টস আন্ডার অ্যাটাক’ হ্যাশট্যাগগুলো।
কেএএ/