রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য নয়: মমতাকে হাইকোর্ট
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে কাউকে কোনো ধরনের অসম্মানজনক মন্তব্য না করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীসহ কেউই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারবেন না। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এই নির্দেশনা দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাও।
চলতি লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৪২ আসনে লড়াইয়ের পাশাপাশি বিধানসভার দুই আসনের উপনির্বাচন হয়। এই দুই আসনেই জয় লাভ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। ভগবানগোলায় জয়ী হন রেয়াত হোসেন সরকার ও বরাহনগরে সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন>>
- রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
- মমতার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করলেন রাজ্যপাল
- পশ্চিমবঙ্গে উপনির্বাচন/ ফের বড় ব্যবধানে তৃণমূলের জয়
তৃণমূলের এই দুই জয়ী প্রার্থীকে শপথগ্রহণের জন্য রাজভবনে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তারা যাননি। পরে গত ২৭ জুন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় নবান্নে এক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সবাই কেন রাজভবনে যাবে? রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে।
মমতার এই মন্তব্যের সময় দিল্লিতে ছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। সেখান থেকেই থেকেই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। রাজ্যপাল বলেন, একজন প্রশাসনিক প্রধানের কাছ থেকে তিনি এমন বিভ্রান্তিকর এবং অবমাননাকর মন্তব্য আশা করেন না।
ওইদিনই মমতার বিরুদ্ধে মানহানি মামলার ঘোষণা দিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। পরে দিল্লি থেকে ফিরে গত ২ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে মমতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রাজ্যপাল। সূত্র বলছে, মামলায় তৃণমূলের দুই হবু বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষকেও যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
গত সোমবার মামলার শুনানি রাজ্যপালের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী অবিলম্বে সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য বন্ধের দাবি জানান। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, মানহানিকর কিছু ঘটেনি। তাই স্থগিতাদেশের প্রশ্নই ওঠে না।
ওইদিন শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। মঙ্গলবার অন্তবর্তী রায়ে তিনি জানিয়েছেন, মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন পর্যন্ত মামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের মানহানিকর মন্তব্য করা যাবে না। কোনো ধরনের লিখিত বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা যাবে না।
ডিডি/কেএএ/