ট্রাম্পের ওপর হামলা, যা বলছেন বিশ্বনেতারা
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়েই নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫মিনিটে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় হামলার শিকার হন ট্রাম্প। তার কানে গুলি লাগে। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
তবে ওই হামলার ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হামলায় হতাহতদের প্রতি সমর্থন এবং গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা।
এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ এক কূটনীতিক বলেন, আরও একবার আমরা রাজনৈতিক কোনো প্রতিনিধির ওপর এ ধরনের সহিংসতার সাক্ষী হলাম। এ ধরনের হামলা গ্রহণযোগ্য নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখে
তিনি হতবাক হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
- আরও পড়ুন:
- এখন কেমন আছেন ট্রাম্প?
- হামলার ঘটনায় বাইডেনকেই দায়ী করছেন ট্রাম্পের সমর্থকরা
- হামলায় আহত ডোনাল্ড ট্রাম্প
- ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে মেটা
হামলার ঘটনাকে অন্ধকারচ্ছন্ন সময় উল্লেখ করে ট্রাম্পের জন্য সমবেদনা এবং তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী নেতা ভিক্টর অরবান।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, তিনি পেনসিলভানিয়া কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সর্বশেষ তথ্য জেনেছেন এবং তিনি ট্রাম্পের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় হতবাক হয়ে গেছেন। তিনি ট্রাম্পের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ধরনের সহিংসতার কোনো যৌক্তিকতা নেই। পৃথিবীর কোথাও এগুলোর কোনো স্থান নেই এবং সহিংসতা কখনই প্রাধান্য পাবে না।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই এই ধরনের হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ‘আন্তর্জাতিক বাম’দের দায়ী করে বলেন, নির্বাচনে পরাজয়ের আতঙ্কে তারা তাদের পশ্চাৎপদ ও স্বৈরাচারী এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসের আশ্রয় নেয়।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা বলেছেন, গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সংলাপের সকল রক্ষকদের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো উচিত। কোস্টা রিকার সরকারও এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, তার বন্ধুর ওপর এ ধরনের হামলায় তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, রাজনীতি এবং গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
এ ধরনের রাজনৈতিক হামলার বিরোধিতা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করে এমন যে কোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে।
হামলার ঘটনায় হতাহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্রে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতাই গ্রহণযোগ্য নয়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় ভয়াবহ ওই ঘটনা দেখে হতবাক হয়েছেন। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিরাপদ থাকায় তিনি স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
- আরও পড়ুন:
- ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে: এফবিআই
- যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সহিংসতার কোনো জায়গা নেই: বাইডেন
- গুলিতে ডান কান ফুটো হয়ে গেছে, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ট্রাম্প
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি এবং তার স্ত্রী সারা হতবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা তার (ট্রাম্পের) সুরক্ষা এবং দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।
টিটিএন