ট্রাম্পের ওপর হামলা

যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সহিংসতার কোনো জায়গা নেই: বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ এএম, ১৪ জুলাই ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন/ ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় তার ওপর হামলা চালানো হয়। গুলিতে ট্রাম্পের ডান কান ফুটো হয়ে গেছে এবং অনেক রক্ত ঝরেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।

এদিকে ট্রাম্পের ওপর এই হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, ফেডারেল এজেন্সিগুলো এই হামলার ঘটনার তদন্ত করছে।

তিনি বলেন, পেনসিলভানিয়ায় ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনায় সবারই নিন্দা জানানো উচিত। আমরা কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দিতে পারি না। আমরা এমন হতে পারি না। আমরা এ ধরনের ঘটনায় ক্ষমা করতে পারি না।

এদিকে হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, আজ সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন।

তবে তাদের দুজনের মধ্যে কি কথা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোস শ্যাপিরো এবং বাটলারের মেয়র বব ড্যানডয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন বাইডেন। রোববার সকালে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা বাইডেনকে ট্রাম্পের ওপর হামলার বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানাবেন।

পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে হামলার শিকার হন ট্রাম্প। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, গুলিতে ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করেই আমি বুঝতে পারি যে কিছু একটা ঘটে গেছে। আমি গুলির শব্দ শুনতে পাই এবং মনে হচ্ছিল আমার চামড়া ভেদ করে গুলি চলে গেছে। অনেক রক্ত বের হচ্ছিল এবং আমি বুঝতে পারলাম যে আসলে কী ঘটেছে। পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন।

হামলার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় সিক্রেট সার্ভিস এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে এ ধরনের ঘটনা অবিশ্বাস্য। এই মুহূর্তেই হামলাকারীর বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে হামলাকারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

হামলার পরপরই মাটিতে পড়ে যান ট্রাম্প। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

র‌্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।