দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য কর হ্রাসের পরিকল্পনা জার্মানির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৫ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষ বিদেশি কর্মীরা জার্মানিতে চাকরি নিলে তাদের কর হ্রাসের পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। অবশ্য এই পরিকল্পনা জার্মান সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সমালোচকরা।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কর সুবিধা, যারা অবসরের আগে লম্বা সময় কাজ করবেন তাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানোর মতো বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যবসার জন্য জার্মানিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে চাচ্ছে ইউরোপের দেশটির সরকার।

জার্মানিতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের আসতে উৎসাহ দিতেও পরিকল্পনা রয়েছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার বলেন, বিদেশি পেশাদারদের জন্য আমরা জার্মানিতে তাদের প্রথম তিন বছরের কর কমানোর ব্যবস্থা করছি। যোগ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে যারা আসবেন, তাদের জন্য ৩০%, ২০% ও ১০% কর হ্রাসের সুযোগ থাকবে।

জার্মানিতে অনেকে অবশ্য এই পরিকল্পনাকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছেন। তবে বিরোধীরা এ সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বিরোধী বিরোধী রাজনীতিবিদ ও ট্রেড ইউনিয়নবাদীরা এই পরিকল্পনাকে ‘অভ্যন্তরীণ কর্মীদের প্রতি নির্লজ্জ বৈষম্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাদের দাবি, এটি এমন এক নীতি, যা স্থানীয়দের প্রতি প্রকাশ্য শত্রুতার সামিল ও অভ্যন্তরীণ শ্রমশক্তির প্রতি চরম উদাসীনতা।

এদিকে, সরকারে থাকা দলগুলোর মধ্য থেকেও এই বিষয়ে সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। জোট সরকারের অন্যতম শরিক সবুজ দল এই ইস্যুতে জার্মান সংবিধানে উল্লেখিত সমান অধিকার ও শ্রম আইনের দিকে ইঙ্গিত করেছে।

দলটির আইনপ্রণেতা বেয়াটে ম্যুলার গেমেকে বলেন, জার্মানিতে সবাইকে সমান দেখার নীতি রয়েছে। এর অর্থ, কারো সঙ্গে মন্দ আচরণ করা উচিত নয়। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি কর্মীদের বেতনের সামান্য অংশেরও কর মওকুফ করা হলে, তা হবে দেশের মানুষের প্রতি বৈষম্যমূলক।

জার্মান ইকোনমিক ইন্সটিটিউটের সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, জার্মানিতে বর্তমানে পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার দক্ষ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের হিসাবে, এই কর্মী ঘাটতি না থাকলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চলতি বছর আরেও এক শতাংশ বেশি হতে পারতো। সংখ্যাটি বেশ বড়, কারণ ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালে জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ০.২%।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।