ভারতে বিয়ে ঘিরে ১৩০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ০৬ জুলাই ২০২৪
বিয়ের পোশাক কিনতে দোকানে এক নারী। ছবি: এএফপি (ফাইল)

করোনা মহামারির পর ভারতে বিয়ে শিল্প (ওয়েডিং ইন্ডাস্ট্রি) ব্যাপকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে এই ইন্ডাস্ট্রিকে ঘিরে ১৩০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে আকারে দ্বিগুণ বড়। যদিও চীনের থেকে এখনও ছোট। জেফারিজের সবশেষ প্রকাশিত তথ্যে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

জেফরিজ জানিয়েছে, ভারতীয়রা বিয়েতে খরচ করতে পছন্দ করেন। যাদের অর্থ রয়েছে তারা তো আরও বেশি উদার।

ভারতের একটি বিয়েতে গড়ে খরচ হয় ১৫ হাজার ডলার, যা বার্ষিক হাউজহোল্ড ইনকামের চেয়ে তিন গুণ বেশি।

আরও পড়ুন>

বিয়ে যে কোনো দেশের জন্যই একটি ব্যয়বহুল বিষয়। কিন্তু ভারতে এটিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কারণ এর মাধ্যমে ক্ষমতা ও মর্যাদা প্রকাশ পায়।

দক্ষিণ এশিয়ায় পিতামাতারা সাধারণত তাদের সন্তানদের বিয়ের জন্য আয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় করেন। এখন এ ধরনের ইভেন্ট অনেক বড় আকারে হচ্ছে। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গেও এর একটি সম্পর্ক রয়েছে।

ম্যারেজ কনসালটেন্ট সিমা তাপারিয়া বলেন, ভারতের বিয়ে শিল্পে গত এক দশকে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।

দেশটিতে বড় ধরনের বিয়ের আয়োজন এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সম্পদশালীদের ক্ষেত্রে। কোনো কোনো বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে বিদেশে আবার কোনো ক্ষেত্রে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বড় তারকাদের।

ইভেন্ট প্ল্যাানার আদিত্য মোটওয়ানে বলেন, ভারতে বিবাহ হলো যোগাযোগ, সম্পর্ক ও সম্পদের শক্তি। এ ধরনের অনুষ্ঠানে সব ধরনের পরিচিত মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

দেশটিতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলে বেশ কয়েক দিন ধরে। এতে গড়ে অতিথি থাকে ৩২৬ জনের মতো। যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা ১১৫ জন।

ধনীদের বিয়ের অনুষ্ঠানে এই অতিথির সংখ্যা আরও বেশি। মার্চে আম্বানির ছেলের বিবাহ পূর্ব পার্টিতে দেশি-বিদেশি অন্তত এক হাজার ২০০ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মার্ক জুকারবার্গ ও বিল গেটসের মতো ব্যক্তিরা।

২০২৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে। ফলে ব্যয়বহুল বিয়ের আয়োজন আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: সিএনএন

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।