এক মাসের মধ্যে কলকাতার সব রাস্তা-ফুটপাত দখলমুক্ত করার নির্দেশ

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:২১ পিএম, ২৭ জুন ২০২৪
রাজ্য সরকারের সচিবালয়ে হকার ও ফুটপাত দখল ঠেকাতে বৈঠক করেন মমতা ব্যানার্জী

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশে দুদিন ধরে কলকাতার রাজপথ থেকে হকার উচ্ছেদ ও দখলদারি ঠেকাতে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্ন থেকে কলকাতার রাজপথের ফুটপাত ও সরকারি জমি দখল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই রাজ্য প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযানে নামে।

বুধবার (২৬ জুন) নিউ মার্কেট চত্বর, রাজারহাট নিউ টাউন, সল্টলেক, গড়িয়াহাট, হাতিবাগান ও কলকাতার প্রায় সব জায়গায় বেআইনি ফুটপাত দখল মুক্ত করেছে পুলিশ ও সিটি করপোরেশন। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ফের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা ব্যানার্জী। সেখানে কলকাতার রাজপথ থেকে হকারদের ফুটপাত খালি করার জন্য এক মাস সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি।

জানা গেছে, বৈঠকে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তুলোধুনা করেন মমতা ব্যানার্জী। পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে হকারদের থেকে চাঁদা তোলারও অভিযোগ করেন তিনি। মমতার স্পষ্ট বার্তা, একটা লোকের চারটি করে ডালা। এতে ওই লোকটাই খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশকে চাঁদা দিয়ে ইচ্ছে মতো ডালা করবো এটা চলবে না।

‘প্রথমে বসাতে দেবেন, তারপর বুলডোজার দিয়ে তুলে দেবেন সেটা হবে না। হকারদের থেকে চাঁদা তোলা বন্ধ করুন। এভাবে রাস্তার দখলের জন্য রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশই দায়ী। লোভ সংবরণ করুন আপনারা। জীবনযাপনের জন্য যতটুকু দরকার সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন।’

বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে কাউন্সিলরদের এলাকায় বেআইনিভাবে জমি দখল করা হবে, তাদেরকে গ্ৰেফতার করা হবে। যে যত বড় নেতাই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আর যারা ভালো কাজ করবেন, তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে।

হকারদের উচ্ছেদ করার পাশাপাশি কলকাতায় থাকা সব বেআইনি পার্কিং জোন ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি বলেন, পুলিশকে টাকা দিয়ে অনেক জায়গায় বেআইনি পার্কিং জোন তৈরি করা হয়েছে। এরকম জোন যতগুলো আছে, সেগুলো সব ভেঙে ফেলা হবে।

বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গেরুয়া রঙ করার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, আমি উত্তরবঙ্গে গিয়ে দেখলাম, সব বিল্ডিং লাল আর গেরুয়া করে ফেলা হয়েছে। যতগুলো রেলস্টেশন আছে, সবগুলোই গেরুয়া করে দিয়েছে। পার্টির রঙ কেন থাকবে? আমার পার্টির রঙ কোথাও ব্যবহার করিনি। তাহলে তারা করবে কেন?

এদিকে, কলকাতার রাজপথে হকার উচ্ছেদ নিয়ে মমতা ব্যানার্জীর তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা ও এর পাশের এলাকায় হকার উচ্ছেদের নামে তৃণমূল নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিশানা করছেন বলে দাবি শুভেন্দুর। তিনি বলেন, কেন রাজাবাজার, মেটিয়াবুরুজ,পার্ক সার্কাসে হকার উচ্ছেদ করছে না পুলিশ? তার কোনো জবাব আছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে? কোথাও হকার উচ্ছেদ হচ্ছে খবর পেলে আমি বুলডোজারের সামনে গিয়ে দাঁড়াবো।

ডিডি/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।