মালদ্বীপ

প্রেসিডেন্টের ওপর ‌‘কালো জাদু’র অভিযোগে মন্ত্রী গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ২৭ জুন ২০২৪
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু/ ছবি সংগৃহীত

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর ওপর ‘কালো জাদু’ করার অভিযোগে পরিবেশ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের গণমাধ্যমগুলোও এমনটাই জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফাথিমাথ শামনাজ আলী সেলিমসহ আরও দুজনকে রোববার রাজধানী মালে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক সপ্তাহের জন্য হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

স্থানীয় গণমাধ্যম দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডঃ মোহাম্মদ মুইজ্জুর ওপর কালো জাদু করার অভিযোগে শামনাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ এ বিষয়টি স্বীকারও করেনি আবারও অস্বীকারও করছে না। জলবায়ু সংকটের প্রথম সারিতে থাকা দেশটিতে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। জাতিসংঘের পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি এই শতাব্দীর শেষের দিকে মালদ্বীপকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলতে পারে।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী, জাদুটোনা করা ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে না। তবে ইসলামিক আইনের অধীনে এই মন্ত্রীর ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে।

এই দ্বীপপুঞ্জর লোকেরা ব্যাপকভাবে ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান পালন করে। তারা বিশ্বাস করে যে, তারা নানা ধরনের জাদুবিদ্যার মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পারে।

মিহারু নামের একটি নিউজ সাইট গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, মানাধুতে ৬২ বছর বয়সী এক নারীর বিরুদ্ধে কালো যাদু করার অভিযোগ আনার পর ২০২৩ সালের এপ্রিলে তিন প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে তিনি নিহত হন। পুলিশের দীর্ঘ তদন্তের পর এই তথ্য সামনে আসে।

তবে পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ওইনারী যাদুবিদ্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এমন কোনো প্রমাণ তারা খুঁজে পাননি।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।