কেনিয়ায় পার্লামেন্টে হামলা, পুলিশের গুলিতে নিহত ১৩
নতুন একটি আর্থিক প্রস্তাব পাশের বিরুদ্ধে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। কেনিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নাইরোবির দুটি সরকারি হাসপাতাল হতাহতের ঘটনায় আহতদের ভিড়ে উপচে পড়েছে। এদিকে সংসদ সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সগুলো নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার জন্য নিয়ে গেছেন। এর ফলে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। রাজধানী নাইরোবি ছাড়াও দেশটির আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ঘটেছে।
এদিকে সহিংসতা ও নির্বিচারে আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, বিক্ষোভে হতাহতের খবরে জাতিসংঘ মহাসচিবও অত্যন্ত দুঃখিত। নির্বিচারে আটকের ঘটনা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন:
- কেনিয়ায় নতুন আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, সংসদ ভবনে আগুন
- ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন কারা?
- বাইডেন-ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার, আলোচনায় অর্থনীতির যেসব বিষয়
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার জন্য মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মৃত্যুর সব ঘটনার যেন পূর্ণ ও সুষ্ঠু তদন্ত হয়।
গুতেরেস কেনিয়ার পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সংযম প্রদর্শনের ও বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, শুধু রাজধানী নাইরোবি নয়, নতুন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দেশজুড়েই বিক্ষোভ হচ্ছে। কারণ এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রস্তাবটির কিছু বিষয়ে সংশোধন করা হলেও, কেনিয়ার সাধারণ জনগণ এটি বাতিল চায়।
এমন পরিস্থিতিতে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো দেশটির সেনাবাহিনীকে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোন প্রচেষ্টা ঠেকানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই বিক্ষোভকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ