দিল্লি

পানি সংকটের প্রতিবাদে অনশন, মন্ত্রীকে নেওয়া হলো হাসপাতালে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ২৫ জুন ২০২৪
ফাইল ছবি

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তীব্র পানি সংকটের প্রতিবাদে অনশনরত পানিমন্ত্রী অতিশীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, অনশনের চার দিনের মাথায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করায় তড়িঘড়ি করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বর্তমানে দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ (এলএনজেপি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অতিশী। এ অবস্থায় অনশন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যসভার সংসদ সদস্য তথা আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ।

আরও পড়ুন>

তীব্র গরমে পানি সংকটে ভুগছে দিল্লি। পানি নিয়ে হাহাকারের ছবিও দেখা গেছে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায়। চাণক্যপুরীর সঞ্জয় ক্যাম্প ও গীতা কলোনি এলাকায় পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এক বালতি পানির জন্য রোদের মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী রাজ্যের থেকে বাড়তি পানি চেয়েছিল দিল্লি সরকার। মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। অভিযোগ, বিজেপিশাসিত হরিয়ানা চাহিদার তুলনায় কম পানি দিচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে হরিয়ানার থেকে বাড়তি পানি চেয়ে ২১ জুন থেকে অনশনে বসেছিলেন দিল্লির পানিমন্ত্রী। কিন্তু চার দিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় অতিশীর শারীরিক পরিস্থিতির ক্রমাবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সুপারিশ করেন।

অতিশীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকেরা জানান, তার শরীরে ক্ষতিকারক কিটোনের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেড়ে গেছে। তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রয়োজন। কিন্তু তাতে রাজি হননি অতিশী।

তবে মঙ্গলবার ভোরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে অতিশীর। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আপের দাবি, সোমবার মধ্যরাতে অতিশীর রক্তে শর্করার পরিমাণ (ব্লাড সুগার লেভেল) ৪৩ হয়ে যায়। ভোর ৩টা নাগাদ তা আরও কমে ৩৬ হয়। আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছে তার। তারপরই আপ সংসদ সদস্য সঞ্জয় জানান, অতিশীর অনশন তুলে নেওয়ার কথা। তবে তিনি এ-ও জানান, অনশন তুললেও পানির দাবিতে আপ আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

সূত্র: এনডিটিভি, বিবিসি

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।