হঠাৎ গ্যাস সংকটের ঝুঁকিতে অস্ট্রেলিয়া, হু হু করে বাড়ছে দাম
অস্ট্রেলিয়ায় হঠাৎ তীব্র গ্যাস সংকটের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় একদিকে যেমন গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে, তেমনি বিভিন্ন কারণে ঘাটতি দেখা দিয়েছে সরবরাহে। আর তার জেরে হু হু করে বাড়ছে দামও।
গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে গ্যাস সরবরাহের ঝুঁকির বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করেছে অস্ট্রেলিয়ান এনার্জি মার্কেট অপারেটর (এইএমও)। এতে বলা হয়েছে, ভিক্টোরিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস এবং সাউথ অস্ট্রেলিয়ার মতো রাজ্যগুলো গ্যস সরবরাহের ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন>>
- ভারতে এক ধাক্কায় ৬৯ রুপি কমলো গ্যাসের দাম
- আন্তর্জাতিক বাজারে কমায় তেল-গ্যাসের দাম কমালো পাকিস্তান
- দেশে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি জানিয়েছে, একইসঙ্গে তীব্র ঠান্ডা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে স্থবিরতা এবং একটি প্রধান গ্যাস প্ল্যান্টে সমস্যার কারণে দেশটির পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে গ্যাস সরবরাহের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এই সংকটে গ্যাসের দামও হয়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া। গত বৃহস্পতিবার সেখানে গ্যাসের দাম ছিল প্রায় ৩০ ডলার প্রতি গিগাজুল। গত দুই বছরে গ্যাসের এমন চড়া দাম আর দেখেনি অস্ট্রেলিয়া।
এইএমও বলেছে, সমস্যার ‘প্রকৃতি ও মাত্রা’ এত মারাত্মক যে, এর কারণে আগামী তিন মাস বা তার চেয়েও বেশি সময় পর্যন্ত গ্যাসের ঘাটতি থাকতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান তথ্যের ভিত্তিতে, গ্যাস সরবরাহের ঝুঁকি ১৯ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বা এর পরেও চলতে পারে।
আরও পড়ুন>>
বাজার নিয়ন্ত্রক এবং শিল্প পর্যবেক্ষকদের মতে, চতুর্দিক থেকে সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়ায় অস্ট্রেলিয়ায় গ্যাসের মজুত দ্রুত কমছে।
সাম্প্রতিক ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঘর উষ্ণ রাখতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে। একই সময়, বায়ু এবং সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে মৌসুমি স্থবিরতাও গ্যাসের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে।
এর মধ্যেই এইএমও জানিয়েছে, অপরিকল্পিতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য লংফোর্ড গ্যাস প্ল্যান্টে উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
লংফোর্ড প্ল্যান্টে অবশ্য ধারাবাহিকভাবেই উৎপাদন কমছিল। কারণ, এর পরিচালক মার্কিন তেল-গ্যাস জায়ান্ট এক্সনমোবিল এবং তার অংশীদার উডসাইড আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে প্ল্যান্টটি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। মূলত বাস প্রণালীতে গ্যাসের মজুত কমে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
কেএএ/