মিয়ানমারে তীব্র সংঘাত

বাংলাদেশে ঢুকতে পারে আরও রোহিঙ্গা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ২২ জুন ২০২৪
ফাইল ছবি

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত ক্রমেই বাড়ছে। সেই সংঘাত থেকে বাঁচতে আরও অনেক রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগে থেকেই বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ কোনো অগ্রগতি নেই। এ অবস্থায় নতুন করে শরণার্থীদের ঢল নামলে তা বাংলাদেশের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার (২১ জুন) বাংলাদেশের এক কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাত বেড়েছে। এর ফলে সীমান্ত পেরিয়ে বেশ কিছু রোহিঙ্গা হয়তো বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।

আরও পড়ুন>>

কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রয়টার্সকে বলেছেন, সীমান্ত পেরিয়ে আরও রোহিঙ্গা কক্সবাজারে প্রবেশের খবর পেয়েছে তার অফিস।

তিনি বলেন, কিছু মানুষ বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, কিছু লোককে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

গত বছরের শেষের দিক থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তীব্র লড়াই চলছে। এরই মধ্যে রাখাইনের নয়টি প্রধান শহর দখল করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। আরও এলাকা দখলের জন্য আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

বিদ্রোহীদের এমন সমন্বিত আক্রমণে জান্তা সরকার ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।

আরও পড়ুন>>

গত মে মাসে আরাকান আর্মি জানিয়েছিল, তারা বুথিডাং শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বসবাস করেন।

অভিযোগ উঠেছে, আক্রমণের সময় মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও নিশানা করেছিল আরাকান আর্মি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিদ্রোহীরা।

এছাড়া, গত রোববার বুথিডাংয়ের পশ্চিমে অবস্থিত মংডু শহরের বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়তে বলেছে আরাকান আর্মি। ওই এলাকায় জান্তা অবস্থান লক্ষ্য করে তীব্র আক্রমণ চালানো হবে বলে জানিয়েছে তারা।

কিন্তু, শহর থেকে বের হওয়ার সব রাস্তা বন্ধ থাকায় মংডুর বাসিন্দাদের পালানোর পথ নেই বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ এবং স্থানীয় একজন রোহিঙ্গা নেতা। শহরটিতে বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছেন।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।