লেবাননে সর্বাত্মক যুদ্ধ করবে ইসরায়েল, পাল্টা হুমকি হিজবুল্লাহরও
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাওয়ার মধ্যেই লেবাননের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিলো নেতানিয়াহু প্রশাসন। পাল্টা জবাবে পুরো ইসরায়েলে হামলার হুমকি দিয়েছেন হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ।
বুধবার (১৯ জুন) ইরান-সমর্থিত সংগঠন হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুমোদন দিয়েছে তেল আবিব। এর জবাবে ইসরায়েল ও তাদের ‘সহযোগী’ সাইপ্রাসকে হুমকি দিয়েছেন হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফাতে হামলার হুমকি দেয় হিজবুল্লাহ। এমনকি, তারা শহরটির উপর দিয়ে তারা একটি পর্যবেক্ষণ ড্রোনও উড়ায়। এর পরপরই হিজবুল্লাহকে ‘ধ্বংস’ করতে লেবাননে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দেয় তেল আবিব। আর এতে অনুমোদন দেন আইডিএফের নর্দার্ন কমান্ড মেজর জেনারেল ওরি গর্ডিন ও অপারেশন ডিরেক্টরেটের মেজর জেনারেল ওদেদ বাসিউক।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের সীমান্তে হিজবুল্লাহর উপস্থিতি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
ইসরায়েলের এ হুমকির জবাবে বুধববার এক টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহর মহাসচিব বলেন, যুদ্ধ শুরু হলে ইসরায়েলের কোনো জায়গাই নিরাপদ রাখা হবে না। ইসরায়েল খুব ভালো করেই জানে যে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন থেকে তাদের কোনো জায়গা-ই নিরাপদ থাকবে না। তিনি আরও দাবি করেন, হিজবুল্লাহ নতুন অস্ত্র পেয়েছে।
এদিকে, নতুন অস্ত্র পাওয়া বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি নাসারুল্লাহ। তবে মার্কিন ভিত্তিক ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিস থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সদস্য সেথ ফ্রান্টজম্যানের মতে, নাসরুল্লাহ ইরানের কাছ থেকে রকেট, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র ও ভারী ওয়ারহেড রকেট পেয়েছে।
হিজবুল্লাহ মহাসচিব আরও বলেন, সাইপ্রাস ইসরায়েলকে সাহায্য করছে। তারা ইহুদী বাহিনীকে তাদের বিমানবন্দর ও বিভিন্ন ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিচ্ছে। তাই সাইপ্রাসও হিজবুল্লাহর হামলা থেকে রেহাই পাবে না।
টানা আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন আর আহত হয়েছেন ৮৫ হাজারেরও বেশি।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই লেবানন সীমান্তে সংঘাতে জড়ায় হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের ১৫ সেনা ও ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর ৩৪৩ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এসএএইচ