মাসে আয় ৭ লাখ

টাকা খরচের পথ পাচ্ছেন না দম্পতি, চান পরামর্শ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৪৩ পিএম, ১৯ জুন ২০২৪
প্রতীকী ছবি

স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মোটা বেতনে চাকরি করেন। মাসে আয় সাত লাখ টাকার বেশি। বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকেন, দামি গাড়িতে চড়েন। যখন যা মনে চায়, আগপাছ না ভেবেই কিনে ফেলতে পারেন। সংসারে বাচ্চাকাচ্চা নেই। ফলে প্রতি মাসেই উপার্জনের একটি বড় অংশ অব্যবহৃত থেকে যায়। সেই টাকা দিয়ে কী করবেন, তা ভেবে কুল পাচ্ছেন না ওই দম্পতি। সম্প্রতি এই মধুর বিড়ম্বনার কথা তারা নিজেরাই জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে পোস্টটি।

বেশিরভাগ মানুষের অভিযোগ, স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপনের মতো অর্থ নেই তাদের কাছে। কিন্তু ভারতের ওই দম্পতির বিষয়টি ভিন্ন।

আরও পড়ুন>>

ভাইরাল পোস্ট থেকে যায়, স্বামী-স্ত্রী উভয়ের বয়স ৩০ বছর। তারা বেঙ্গালুরুতে একটি প্রযুক্তি সংস্থায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন।

স্বামী জানিয়েছেন, তাদের মোট মাসিক ইনকাম সাত লাখ রুপি। সঙ্গে বার্ষিক বোনাস তো রয়েছেই। উপার্জনের অর্থ থেকে প্রতি মাসে তারা দুই লাখ রুপি জমা রাখেন একটি মিউচুয়াল ফান্ডে। মাসিক খরচ হয় দেড় লাখ রুপির মতো। বেঙ্গালুরুতে তারা একটি ভালো জায়গায় বসবাস করেন, একটি গাড়ি রয়েছে তাদের। এখনো কোনো বাচ্চাকাচ্চা হয়নি।

মাস শেষে দেখা যায়, সব খরচের পরেও তিন লাখ রুপির বেশি উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে তাদের। এই অর্থ দিয়ে কী করা যায়, তা জানতেই মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন>>

তিনি লেখেন, আমাদের কারোরই বিশেষ কোনো শখ নেই। তাই বুঝতে পারছি না, এই টাকা কী কাজে ব্যবহার করবো। কারও কোনো পরামর্শ রয়েছে কি?

পোস্টটি প্রথমে শেয়ার করা হয়েছিল গ্রেপভাইন অ্যাপে। প্ল্যাটফর্মটিতে মূলত ভারতীয় চাকরিজীবীরা বেতন, কর্মস্থল, অর্থনীতি প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। পরে সেই পোস্টের একটি স্ক্রিনশট এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করেন গ্রেপভাইনের প্রধান নির্বাহী সৌমিল ত্রিপাঠী। তার পোস্টটিই ভাইরাল হয়েছে।

সৌমিল লিখেছেন, এটি সত্যিই দারুণ। একসময় আমরা কেবল ব্যবসায়ীদেরই অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে সমস্যায় পড়তে দেখতাম। কিন্তু আজ দেখছি, চাকরিজীবী শ্রেণির লোকেরাও ‘ধনীদের সমস্যায়’ পড়ছেন।

আরও পড়ুন>>

তার ওই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বহু মানুষ। সেখানে অনেকেই বাস্তব ও কার্যকর সমাধান দেখিয়েছেন।

কেউ কেউ দম্পতিকে আরও ভ্রমণের পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ বলেছেন বাড়ি কিনতে, কেউ ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে, আবার কেউবা দাতব্য সংস্থা অথবা এতিমখানায় অর্থ দান করার পরামর্শ দিয়েছেন।

তবে অনেকেই মজা করে বলেছেন, উদ্বৃত্ত অর্থ তাকে দিয়ে দিতে। যেমন একজন লিখেছেন, টাকা আমাকে দিয়ে দেন। আমার বেতন যথেষ্ট নয়।

সূত্র: এনডিটিভি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।