কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে কোনো বাংলাদেশি পর্যটক ছিল না
পশ্চিমবঙ্গে সোমবার (১৭ জুন) সকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিয়ালদহগামী ট্রেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এতে এখন পর্যন্ত ১৫ জন নিহত ও ৬০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে ট্রেনটিতে ছিল না কোনো বাংলাদেশি কিংবা অন্য দেশের কোনো পর্যটক ছিলেন না।
ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি (এনজিপি) স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এই গতি একটা এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষেত্রে একদমই কম।
সেদিন সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে রাঙ্গাপানির স্টেশনের কাছাকাছি এসে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সেসময় হঠাৎ করে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকা এক্সপ্রেস ট্রেনটির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি বগি। ঘটে হতাহতের ঘটনা।
এরই মধ্যে ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি, আহতদেরকে আড়াই লাখ রুপি ও অল্প আহতদের ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড থেকে নিহতদের ২ লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণের দেওয়া হবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু জানায়নি ভারতীয় রেলওয়ে। মালগাড়িটি কীভাবে একই ট্র্যাকে চলে এলো। নাকি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট লাল সিগন্যাল মানেননি, তার সবটাই জানা যাবে তদন্তের পরে।
অন্যদিকে, বারবার রেল দুর্ঘটনার জন্য ভারতের সাবেক রেলমন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত সরকার শুধু জনগণের কাছ থেকে টিকিটের মুল্য নিতে পারে, কিন্তু যাত্রীদের সুরক্ষায় কোনো কাজ করে না।
ডিডি/এসএএইচ