টাকার লোভ

৭২ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে ১২ বছরের মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন বাবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০১ পিএম, ১৮ জুন ২০২৪
প্রতীকী ছবি। এএফপি

মেয়ের বয়স মাত্র ১২ বছর। কিন্তু তাকেই ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিচ্ছিলেন বাবা। দাদার বয়সী ওই লোকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিলে পাঁচ লাখ রুপি পেতেন জন্মদাতা। অর্থাৎ, অর্থের লোভে মেয়েকে কার্যত বিক্রিই করে দিচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। সময়মতো পৌঁছে বিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বর ও কাজিকে। তবে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত বাবা।

সম্প্রতি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় ঘটেছে এই ঘটনা। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বয়স্ক লোকদের সঙ্গে নাবালিকাদের বিয়ে দেওয়ার ঘটনা বেশ বেড়েছে।

আরও পড়ুন>>

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের খবরে জানা যায়, পাঁচ লাখ রুপির বিনিময়ে নিজের ১২ বছরের মেয়েকে ৭২ বছর বয়সী হাবিব খানের সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছিলেন বাবা আলম সাইদ। তার বাড়ি চরসদ্দা জেলার জিয়ারাত গ্রামে।

খবর পেয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। আটক করা হয় দাদার বয়সী বর এবং বিয়ে পড়াতে আসা কাজিকে। তবে পালিয়ে যান মেয়ের বাবা। এ ঘটনায় শিশু সুরক্ষা আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশ।

এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানে নিয়মিতই এ ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া যায়।

সম্প্রতি রাজনপুর ও ঠাট্টায় এ ধরনের অপচেষ্টা নস্যাৎ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যেখানে অল্পবয়সী মেয়েদের জোর করে বয়স্ক পুরুষদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।

আরও পড়ুন>>

একইভাবে, পাঞ্জাবের রাজনপুরে ১১ বছর বয়সী এক মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে।

ঠাট্টায় ৫০ বছর বয়সী লোকের সঙ্গে এক কিশোরীকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু সৌভাগ্যবশত, পুলিশের সময়মতো পদক্ষেপে রক্ষা পায় মেয়েটি।

গত ৬ মে সোয়াতে ১৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে করায় ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মেয়েটির বাবা, বিয়ের কাজি এবং সাক্ষীদেরও।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।