ভিজিট ভিসায় হজের চেষ্টা
আড়াই লাখ মানুষকে ফিরিয়ে দিলো সৌদি আরব
ভিজিট ভিসা নিয়ে হজ পালনের চেষ্টা করা আড়াই লাখের বেশি মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব। অবৈধ হজযাত্রী মোকাবিলায় সৌদি কর্তৃপক্ষ যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, এটি তারই নমুনা বলে মনে করা হচ্ছে।
হজ মৌসুমে সৌদি কর্তৃপক্ষ বারবার বলেছে, ভিজিট ভিসা নিয়ে কেউ হজ পালন করতে পারবেন না।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্নেল তালাল আল শালহুবের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এ বছর ভিজিট ভিসা নিয়ে অবৈধভাবে হজের চেষ্টা করা ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮১ জনকে ফিরিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব।
আরও পড়ুন>>
- অনুমতি ছাড়া হজ করলে প্রবাসীদের ফেরত পাঠাবে সৌদি
- হজের সময় তীব্র গরমের শঙ্কা, সৌদি প্রশাসনের সতর্কবার্তা
- ‘সবচেয়ে বয়স্ক’ হজযাত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করলো সৌদি আরব
তিনি জানান, গত ২৯ এপ্রিল থেকে ১৬০টি ভুয়া হজ প্রচারাভিযান ধরা পড়েছে এবং ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮টি অননুমোদিত গাড়ি মক্কার প্রবেশমুখ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, ২ লাখ ৫০ হাজার ৩৮১ জন অনাবাসীকে ইসলামের পবিত্রতম শহর মক্কায় প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, হজের আনুষ্ঠানিকতা চলা পবিত্র স্থানগুলোতে ইসলামী শরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কহীন স্লোগান উঠতে দেবে না সৌদি আরব।
তিনি বলেন, হজ মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সৌদি নিরাপত্তা সংস্থাগুলো পবিত্র স্থানগুলোর চারপাশে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী বজায় রাখবে।
নিয়ম ভাঙলে কঠোর শাস্তি
২-২০ জুনের মধ্যে মক্কা, কেন্দ্রীয় এলাকা ও পবিত্র স্থানগুলোতে হজের নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অনুমতি ছাড়া হজ করতে গিয়ে ধরা পড়লে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল (৩ লাখ ১২ হাজার টাকা প্রায়) জরিমানা দিতে হবে। তিনি সৌদি নাগরিক অথবা বিদেশি শিক্ষার্থী, যে-ই হোন না কেন, জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে সবাইকে।
আরও পড়ুন>>
- হজ ভিসায় নতুন নিয়ম আনলো সৌদি আরব
- ওমরাহ ভিসার মেয়াদ কমালো সৌদি আরব
- আইন লঙ্ঘনের দায়ে সৌদিতে গ্রেফতার ১৭ হাজার
নিয়ম লঙ্ঘন করা ব্যক্তি প্রবাসী হলে তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং তিনি আর কখনোই সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।
এছাড়া, হজের নির্দেশাবলী লঙ্ঘনকারী এবং অবৈধ হজযাত্রীদের পরিবহনে জড়িত ব্যক্তির ছয় মাস পর্যন্ত জেল এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার রিয়াল (১৫ লাখ টাকার বেশি) জরিমানা হতে পারে।
নিয়ম লঙ্ঘন করা পরিবহনকারী প্রবাসী হলে তাকে সৌদি থেকে নির্বাসিত করা হবে এবং সাজা শেষে ফের দেশটিতে প্রবেশের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
সূত্র: গালফ নিউজ
কেএএ/