অজিত দোভালকেই ফের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করলেন মোদী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪
অজিত দোভাল /ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরপরই সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা অজিত দোভালকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে একই পদে অজিত দোভালকে পুনর্বহাল রেখেছিলেন মোদী। এবারও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে তাকেই বেছে নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এই চৌকস গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে পুনর্নিয়োগের কথা জানানো হয়। যদিও সোমবার (১০ জুন) থেকেই কার্যকর হয়েছে ওই নির্দেশিকা।

২০১৪ সালে অজিত দোভাল প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই তার নেতৃত্বে একে একে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের দমনের পদক্ষেপ নেয় ভারতের সরকার। ২০১৬ সালে জম্মু ও কাশ্মিরের বারমুলা জেলার উরি শহরে সন্ত্রাসী হামালার পর, তার নেতৃত্বেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল ভারতীয় বাহিনী। সেসময় এই ঘটনা মোদী সরকারের পক্ষে প্রবল জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল।

এরপর ২০১৭ সালে দোকলামে ভারত-চীন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেসময় মূলত দোভালের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি শান্ত হয় ও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পুলওয়ামায় সিআরপিএফের গাড়িবহরে সন্ত্রাসী হামলার পরে পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসী শিবিরে বিমান হামলার নেপথ্যেও দোভালের উপদেশ ও নির্দেশ ছিল বলে জানা গেছে।

পাঁচ বছর দক্ষতার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলানোর ‘পুরস্কার’ হিসেবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে পুনর্নিয়োগ পেয়েছিলেন অজিত দোভাল। শুধু তাই-ই নয়, তার পদমর্যাদাও বাড়িয়ে দিয়েছিল দ্বিতীয় মোদী সরকার। মোদীর প্রথম বারের প্রধানমন্ত্রিত্বের পাঁচ বছরে দোভালের পদমর্যাদা ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সমান। সেই পদমর্যাদা বাড়িয়ে তাকে দেওয়া হয়েছিল পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা।

মোদীর দ্বিতীয় দফায় দোভালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ৩৭০ ধারা বাতিলের পর অশান্ত হয়ে ওঠা কাশ্মির উপত্যকায় আইনশৃঙ্খলা ফেরানোর ক্ষেত্রে। পাশাপাশি, ২০২০ এর জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে দফায় দফায় বেজিংয়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা কমাতেও তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।

যদিও ২০২০ সালেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দোভালের ‘দূরত্বের’ খবর নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। ফলে তৃতীয় দফায় মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি পুনর্নিয়োগ পাবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। বৃহস্পতিবার সেই সংশয়েরই ইতি টেনে দিলেন মোদী।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।