গুজরাটে কিস্তিতে ঘুস নিচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৬ পিএম, ০৮ জুন ২০২৪
প্রতীকী ছবি

শখ মেটাতে মধ্যবিত্তদের অনেকেই এখন ভরসা করে ইএমআইতে বা কিস্তিতে। ক্রেডিটে কেনা জিনিসের টাকা অল্প অল্প করে সুদ দিয়ে কেনায় অভ্যস্ত হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু তাই বলে ঘুসও নেওয়া হবে কিস্তিতে? এমন ঘটনাই ঘটেছে গুজরাটে।

গুজরাট দুর্নীতি দমন ব্যুরো (এসিবি) বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছর এই ধরনের অন্তত দশটি ঘটনা সামনে এসেছে।

আরও পড়ুন: 

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জাানা গেছে, এই বছরের শুরুতে রাজ্যের এক ব্যক্তিকে পণ্য ও পরিষেবা কর থেকে বাঁচতে ২১ লাখ রুপি ঘুস দিতে বলা হয়েছিল। আর সেটি যেন ওই ব্যক্তির উপর বোঝা হয়ে না দাড়ায়, সেজন্য ইএমআইয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২ লাখ রুপি করে পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। একই ধরনের একটি কাজের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একজন পুলিশ কর্মকর্তা চারটি কিস্তিতে ১০ লাখ রুপি ঘুস দাবি করেছিলেন।

এদিকে সুরাটের একজন পঞ্চায়েত প্রধান ভূমি সমতল করার জন্য এক গ্রামবাসীর কাছ থেকে ৮৫ হাজার রুপি ঘুস দাবি করেছিলেন। যেহেতু ভুক্তভোগীর আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় ৩৫ হাজার ডাউনপেমেন্ট ও বাকি অর্থ তিনটি কিস্তিতে দেওয়া সুযোগ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: 

এসিবির ডিরেক্টর ও ডিজিপি (আইন ও শৃঙ্খলা) শমসের সিং বলেন, মূল্যবান কোনো জিনিস কিনতে ইএমআইয়ের প্রচলন আছে। কিন্তু এখন সরকারি সংস্থাগুলোতেও ঘুস নেওয়ার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে ও পদ্ধতিটি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

‘আমরা পুরো ঘটনার সামান্য অংশই জানতে পেরেছি। আমাদের কাছে যারা অভিযোগ করেছেন, তারা সরকারি সংস্থায় ঘুস ডাউন পেমেন্ট করার পর যোগাযোগ করেছেন। বিস্তর তদন্ত চলছে, পরবর্তী সময়ে সব জানানো হবে।’

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।