গাজায় ১৫ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
গাজায় ১৫ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের বিরুদ্ধে নিপীড়নকারী দেশগুলোকে নিয়ে জাতিসংঘের বার্ষিক কালো তালিকায় ইসরায়েলকে যুক্ত করা হয়েছে। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ এই পদক্ষেকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ তাদের দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার ফল।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে আলবানিজ বলেন, শিশুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনের জঘন্য লঙ্ঘনকারী রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় ইসরায়েলকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তারা ১৫ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে এবং আরও ২০ হাজার শিশুকে এতিম বানিয়েছে। এমনটা তাদের করা উচিত হয়নি।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে সমালোচনা করে আসছেন আলবানিজ। মে মাসের শেষের দিকে ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
গাজার কয়েক হাজার শিশু ইসরায়েলি হামলায় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়েছে। এই সংখ্যা কমপক্ষে তিন হাজার বলে জানা গেছে।
এদিকে গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ২২১ জন।
- আর পড়ুন:
- গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত
- মধ্য গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা, হাসপাতালে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা
- গাজা সংঘাতে ৬৪৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
- গাজায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২৭
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সেখানে অভিযানের নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
প্রায় আট মাস ধরে চলা সংঘাতে গাজায় ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ৩৬ হাজার ৭৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৩ হাজার ৫৩০ জন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
টিটিএন