পশ্চিমবঙ্গে বসেছে অস্থায়ী পশুর হাট, শুরুতেই দাম চড়া
আর কিছুদিন পরই মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। সেদিন সারা বিশ্বের মতো পশ্চিমবঙ্গেও পশু কোরবানির মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্যলাভের চেষ্টা করবেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। এ উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বসতে শুরু করছে অস্থায়ী পশুর হাট। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম, হাওড়া, কলকাতাসহ বেশ কিছু জায়গায় শুরু হয়েছে পশু বেচাকেনা।
এরই মধ্যে কলকাতার একাধিক জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হাটগুলো বসেছে নাখোদা মসজিদ লাগোয়া জাকারিয়া স্ট্রিট, খিদিরপুর, রাজাবাজার, গার্ডেনরিচ,নারকেলডাঙা, মেটিয়াব্রুজ এলাকায়। এর বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় আরও ছোট ছোট অস্থায়ী পশুর হাট বসছে।
প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে এসব অস্থায়ী পশুর হাটে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে পশু আসে। কলকাতার স্থানীয় লোকদের কাছে বাইরে থেকে আসা পশুর প্রতি আগ্রহ বেশি। এর মধ্য উন্নত জাতের খাসি, দুম্বা, উট বেশি পছন্দ তাদের।
সূত্র জানিয়েছে, এসব অস্থায়ী হাটে একটি দেড় থেকে দুই মণ ওজনের গরুর দাম পড়ছে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার রুপি। তিন থেকে চার মণের একটি গরু ৪৫ থেকে ৫০ হাজার রুপি। দুম্বা, উটের দাম হাঁকা হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ রুপি।
উন্নত জাতের খাসি বিক্রি হচ্ছে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার রুপিতে। তবে জায়গাভেদে খাসির দাম কিছুটা ওঠানামা করতে পারে। একটু দরদাম করলে দাম অনেকটা কমানো যাচ্ছে।
উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে জামাল শেখ নামে এক পশুবিক্রেতা বলেন, কোরবানির ঈদ হতে পারে আগামী ১৭ জুন। তার আগে এই অঞ্চলে প্রতি বছর অস্থায়ী হাট বসে। ঈদের জন্য এখানে সব ধরনের পশু পাওয়া যায়। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম একটু চড়া।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে পশু আসে। সেসব পশু এখনো এসে পৌঁছায়নি। তাই দাম একটু বেশি। বাইরে থেকে পশু আশা শুরু করলেই দাম হয়তো আস্তে আস্তে কমবে।
ডিডি/কেএএ/