২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় কংগ্রেস ১০০টি আসন জিততে চলেছে। ২০০৯ সালের পরে এবারই দলটি এত বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তাই বিষয়টিকে কংগ্রেসের উত্থান হিসেবে দাবি করছেন অনেকে।
আবার কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে রয়েছে ২৩০টি আসনে। জয় নিশ্চিত হয়েছে আরও একটি আসনে। এর মধ্যে কংগ্রেস এগিয়ে ৯৯ আসনে, জয়ী হওয়া আসনটিও তাদের। এছাড়া, সমাজবাদী পার্টি ৩৫, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯, ডিএমকে ২২, আম আদমি পার্টি তিনটি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এগিয়ে রয়েছে ২৯০টি আসনে। এগুলো মধ্যে মোদীর দল এককভাবে ২৩৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
অন্যদিকে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৫২টি ও ২০১৪ সালে মাত্র ৪৪টি আসনে জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস উপমহাদেশের প্রাচীন দলটি। অথচ ২০০৯ সালে দলটি ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের নেতৃত্বে ২০৬টি আসনে জিতেছিল।
২০১৪ সালে যা ঘটেছিল
২০১৪ সালে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির মুখোমুখি হয়েছিল। ওই নির্বাচনে বিশাল পরাজয়ের মুখে পড়ে দলটি। সেবার তারা ১৬২টি আসন হারায় ও প্রায় ৯ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট হারায়। সেই সময় মোদির হাত ধরে হিন্দুত্ববাদের উত্থান ঘটে।
গুজরাট, রাজস্থান বিহার, ঝাড়খণ্ড ও মধ্যপ্রদেশে ব্যাপক ব্যবধানে জয়লাভ করে বিজেপি। ১০ বছর আগে ওই ভোটে দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩৩৬টিতে জয় পায়। আর এককভাবে বিজেপি পেয়েছিল ২৮২টি আসন।
এনডিএ জোট উত্তর প্রদেশে ৭৩টি, মহারাষ্ট্রে ৪১টি, বিহারে ৩১টি ও মধ্যপ্রদেশে ২৭টি আসন পায়। তাছাড়া গুজরাটের ২৬টি, রাজস্থানের ২৫টি, দিল্লির সাতটি, হিমাচল প্রদেশের চারটি ও উত্তরাখন্ডের পাঁচটি আসনে জেতে। সেই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের ১৪টির মধ্যে ১২টি, ছত্তিশগড়ের ১১টির মধ্যে ১০টি ও হরিয়ানার ১০টি আসনের মধ্যে সাতটিতে জয় লাভ করেছিল। সেবার কংগ্রেস উত্তর প্রদেশের মাত্র দুটি আসন আমেঠি ও রায়বরেলিতে জিতেছিল।
২০১৯ সালে কংগ্রেসের অবস্থা
২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে আরও বেশি আসনে জয় পায়। সেবার মোদীর দল এককভাবে ৩০৩টি ও জোটবদ্ধভাবে ৩৫৩টি আসনে জয় লাভ করে। ওই বছর দলটি উত্তর প্রদেশে ৭৪টি, বিহারে ৩৯টি ও মধ্যপ্রদেশে ২৮টি আসন পেয়েছিল। সেই সঙ্গে গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও দিল্লিতেও জয়লাভ করে। এসব রাজ্য থেকে বিজেপি ৭৭টি আসন পায়। অন্যদিকে, ছত্তিশগড়ের ৯টি ও ঝাড়খণ্ডের ১১টিসহ এই অঞ্চল থেকে ২৩৮টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি।
সেবারের নির্বাচনে কংগ্রেস রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেয়। রাহুল গান্ধী আমেঠি আসনে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে বাজাভাবে পরাজিত হন। ওই পরাজয়ের পরেই কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ