এমপি আনার হত্যা
এবার নৌ ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর অভিযানেও মিললো না দেহাংশ
পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:১৮ পিএম, ০৩ জুন ২০২৪
কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস আবাসনে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের দেহাংশ খুঁজতে ভারতীয় নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর তিন সদস্যের একটি দল কলকাতায় পৌঁছেছে। সোমবার (৩ জুন) অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী বিশাখাপত্তনম থেকে তারা কলকাতায় আসেন।
এই দলের সঙ্গে ছিল উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামি কসাই জিহাদের দেখানো কৃষ্ণমাটি ও জিরানগাছার বাগজোলা খালের নির্দিষ্ট স্থানে সোমবার ফের তল্লাশি চালায় সিআইডি, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও তিন সদস্যের বিশেষ ওই দলটি।
যে ট্রলিতে এমপি আনারের দেহাংশ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেটি খোঁজার জন্য ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বাগজোলা খালের পানিতে মেটাল ডিটেক্টর চালানো হয়। এছাড়া অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ দিয়ে এমপির দেহাংশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। তবে এদিনের তল্লাশি অভিযান থেকে কিছুই মেলেনি।
আরও পড়ুন:
- আনারের দেহাংশ খুঁজতে সাহায্য নেওয়া হবে ভারতীয় নৌ-উপকূলরক্ষী বাহিনীর
- সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার
- ‘ওয়াটার থিওরি’ ব্যবহার করে দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।
প্রায় ১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২২ মে আনারের মৃত্যুর বিষয়টি সামনে আসে। কলকাতা পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ১৩ মে এই সঞ্জীবা গার্ডেনসের ওই অভিজাত আবাসনেই এমপি আনারকে খুন করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। তদন্তে নেমে ২৩ মে রাতে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থেকে জিহাদ হাওলাদার নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে তারা। এই যুবক দিল্লিতে অবৈধভাবে বসবাস করতেন ও সেখানে তিনি কসাই হিসেবে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন:
- মরদেহ না পেলেও মামলা নিষ্পত্তি কষ্টকর হবে না: ডিবিপ্রধান
- এমপি আনার হত্যা: দায় স্বীকার করে সিলিস্তির জবানবন্দি
- তদন্তের স্বার্থে সব কিছু বলা যাচ্ছে না: ডিবিপ্রধান
হত্যা মামলায় গ্রেফতার কসাই জিহাদ হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, এমপির লাশের টুকরো ফেলা হয়েছে কলকাতার ভাঙড় এলাকার কৃষ্ণমাটি ও জিরানগছার বাগজোলা খালে। জিহাদের দেওয়া তথ্যানুসারে এমপি আনারের দেহাংশ খুঁজে পেতে বেশ কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় বাগজোলা খাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিআইডি। কিন্তু এখনো এ জায়গা থেকে কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ডিডি/এসএএইচ