মৃত্যুর ৬ দিনেও হয়নি মায়ের শেষকৃত্য, জামিন পেলেন না পিকে হালদার

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:০৩ পিএম, ০৩ জুন ২০২৪
ফাইল ছবি

বার্ধক্যজনিত কারণে চলতি বছরের ২৮ মে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় ভারতের কারাগারে বন্দি পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার। এ ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও পিকে হালদার ও তার ছোট ভাই প্রাণেশ হালদারের জামিন না মেলায়, লীলাবতী হালদারের শেষকৃত্য করা যায়নি।

লীলাবতী হালদারের শেষকৃত্য ও শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করার জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন পিকে হালদার ও তার ভাইয়ের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। তবে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেননি।

গরমের ছুটি শেষে সোমবার (৩ জুন) আদালত খুলতেই স্পেশাল ইডি কোর্টে পিকে হালদারের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। মানবিক দৃষ্টিতে সোমবার মায়ের শেষকৃত্য করার জন্য ১৫ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেছিলেন পিকে হালদার ও তার ভাই।

কিন্তু এই জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। ১৫ দিনের জায়গায় চার দিনের অন্তবর্তী জামিনের দাবী জানান ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী।

দুই পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, পিকে হালদারের মা মারা গেছেন। এই কারণ দেখিয়ে পিকে হালদার ও প্রাণেশ হালদারের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত এ বিষয়ে মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

জানা গেছে, পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদারও বেআইনি অর্থ পাচার মামলায় বাংলাদেশের আদালতে অভিযুক্ত ছিলেন। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চলতি বছরের ২৮ মে একাধিক অঙ্গ অকেজো হয়ে তার মৃত্যু হয়। লীলাবতী হালদারের মরদেহ বর্তমানে কলকাতার পিস ওয়ার্ল্ডে সংরক্ষিত রয়েছে।

কলকাতার কাছাকাছি অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২০২২ সালের ১৪ মে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করে ইডি। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ বাকি আসামিদের।

গত বছরের ১১ জুলাই ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ইডি। ভারতের অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন- ২০০২ (পিএমএলএ) ও দুর্নীতি দমন আইন- ১৯৮৮ এর মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

বর্তমানে পিকে হালদার সহ পাঁচ পুরুষ আসামি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অসামি শর্মী হালদার রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

ডিডি/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।