দুই ইসরায়েলি মন্ত্রীর জোট সরকার ভেঙে দেওয়ার হুমকি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৭ এএম, ০২ জুন ২০২৪
ছবি সংগৃহীত

সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ওই প্রস্তাবে ইসরায়েল যদি রাজি হয় তবে জোট সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছেন দেশটির দুই উগ্র ডানপন্থি মন্ত্রী। একই সঙ্গে তারা জোট সরকার ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। গত শুক্রবার জো বাইডেনের গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়টি সামনে আসে। খবর বিবিসির।

ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেছেন, হামাসকে ধ্বংস করার আগে কোনো চুক্তিতে তারা সম্মতি জানাবেন না।

এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করলে তার সরকারকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিদ।

এর আগেই নেতানিয়াহু অবশ্য জোর দিয়েই বলেছেন যে, হামাসের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এবং সব জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কোনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে না।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের তিন অংশের প্রস্তাবটি ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শুরু হবে। এর আওতায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে। পরবর্তীতে এই চুক্তির মাধ্যমে সব জিম্মির মুক্তি, স্থায়ী সংঘাত বন্ধ এবং গাজার জন্য একটি বড় পুনর্গঠন পরিকল্পনার দিকে পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

তবে শনিবার সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে স্মোট্রিচ জানান, তিনি নেতানিয়াহুকে বলেছেন যে, হামাসকে ধ্বংস করা এবং সব জিম্মিকে ফিরিয়ে না এনে সরকার যে প্রস্তাবিত রূপরেখার সঙ্গে সম্মত হয়েছে এবং যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাবে তিনি তার অংশ হবেন না।

তার কথার প্রতিধ্বনি করে ইতামার বেন-গভিরও বলছেন, এই চুক্তির অর্থ হলো যুদ্ধের সমাপ্তি এবং হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্য পরিত্যাগ করা। এটি একটি বেপরোয়া চুক্তি, যা সন্ত্রাসবাদের বিজয় এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি বলছেন, এই প্রস্তাবে রাজি হওয়ার চেয়ে তিনি বরং সরকার ভেঙে দেবেন।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।