মার্কিন অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানোর অনুমোদন বাইডেনের
রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, তা শিথিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই শিথিলতা ইউক্রেনকে তার উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের কাছাকাছি রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালাতে সাহায্য করবে।
বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কিয়েভকে খারকিভ অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে। চলতি মাসের শুরুতেই খারকিভের বেশ কয়েকটি গ্রামের দখল নেয় রুশ সেনাবাহিনী।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি ইউক্রেনকে খারকিভ অঞ্চলে পাল্টা হামলার জন্য মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে ইউক্রেনের আত্মরক্ষার্থে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তবে এসব অস্ত্র শুধু খারকিভ সীমান্তের রুশ অঞ্চলে হামলার জন্য ব্যবহার করতে পারবে কিয়েভ।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে বেজায় জটেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরই মধ্যে তিনি আবারও তার বাহিনীকে পারমাণবিক শক্তির উপর জোর দিয়ে আসন্ন ‘গুরুতর পরিণতি’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
রাশিয়ার নিম্ন কক্ষের প্রতিরক্ষা কমিটির প্রধান আন্দ্রেই কার্তাপোলভকে উদ্ধৃত করে শুক্রবার (৩০ মে) রাশিয়ার রাষ্ট্র-পরিচালিত বার্তাসংস্থা আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনের হামলার প্রতিশোধ নেবে মস্কো।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনার বিষয়টি মোটেই ফাকা বুলি নয়। তাছাড়া পশ্চিমাদের বাড়াবাড়ি এই যুদ্ধকে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধে’ রূপান্তরিত করতে পারে বলে যে আশঙ্কা রাশিয়া করছে, সেটাও মিথ্যা নয়।
এদিকে, শুক্রবার (৩১ মে) জার্মানিও ইউক্রেনকে পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। দেশটির দাবি, আত্মরক্ষার্থে অবশ্যই এসব অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেন সেনাবাহিনী।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ