বিহারে তাপপ্রবাহ, দুই ঘণ্টায় ১৬ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ৩১ মে ২০২৪
বিহারে তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতায় মারা যাওয়া এক ব্যক্তির স্বজনের আহাজারি/ ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিহার রাজ্যের আওরঙ্গবাদ হাসপাতালে দুই ঘণ্টার মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই তাপ প্রবাহজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

আওরঙ্গবাদ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উচ্চ তাপমাত্রায় বিভিন্ন অসুস্থতায় আক্রান্ত অন্তত ৩৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, ওষুধ, বরফ রয়েছে। সেই সঙ্গে আরও কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: 

বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্য যাচ্ছে বিহার। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এতটাই বেশি যে ৮ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কোচিং সেন্টার ও অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার (সরকারি চাইল্ড কেয়ার সেন্টার) বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তীব্র গরমে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর বুধবার (২৯ মে) এই নির্দেশ জারি করে রাজ্য সরকার।

জানা গেছে, অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শেইখপুরা জেলার একটি সরকারি স্কুলের অন্তত ১৬ জন ছাত্রী জ্ঞান হারায়। সময়মতো অ্যাম্বুলেন্স না আসায় তাদের সবাইকে হুইলচেয়ার ও অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শেইখপুরার মতো বেগুসারাই ও জামুই জেলাতেও শিক্ষার্থীদের অজ্ঞান হয়ে যাওয়া খবর পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: 

এদিকে, এ ঘটনায় বিহার সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে দায়ী করেছেন আরজেডি নেতা ও সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, বিহারে না আছে সরকার, না আছে গণতন্ত্র। শুধু আমলাতন্ত্র আছে। মুখ্যমন্ত্রী এত দুর্বল কেন?

‘তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি। ডাক্তাররা প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে এমন আবহাওয়া শিশুদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এরপরও রাজ্য সরকার সময়মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ঘোষণা দেয়নি।’

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) আওরঙ্গবাদ শহরের তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে বুধবার শহরটিতে তাপমাত্রা ছিল ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ। এদিকে, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বিহারে দুই দিনের জন্য তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।