উত্তর কোরিয়াকে থামাতে চায় চীন-জাপান-দ. কোরিয়া
প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবার ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনে বসেছে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার (২৭ মে) দক্ষিণ কোরিয়ার রাধানী সিউলে মিলিত হন ৩ রাষ্ট্রপ্রধান। উত্তর কোরিয়া মহাকাশে আরেকটি স্যাটেলাইট স্থাপনের ঘোষণা দেওয়ার পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।
সম্মেলনের পর প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতি বলা হয়, সম্মেলনে নিরাপত্তার বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এসময় তিনটি দেশই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা, কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
তিন রাষ্ট্রপ্রধানের বক্তব্য, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও কোরীয় উপদ্বীপে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা তাদের সাধারণ স্বার্থ ও দায়িত্বের অংংশ।
সম্মেলনে উত্তর কোরিয়া নাম উল্লেখ না করে সব পক্ষকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। উত্তর কোরিয়াকে দ্বিতীয় স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কোনো উৎক্ষেপণ সরাসরি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন লঙ্ঘন। এমন কর্মকাণ্ড আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এদিকে, কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পরিকল্পনায় একমত হওয়া দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের নিন্দা করেছে উত্তর কোরিয়া। তিন দেশের যৌথ এই ঘোষণাকে ভয়াবহ রাজনৈতিক উসকানি ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে কিম জং উন প্রশাসন।
এর আগে চলতি বছরের ২৭ মে থেকে ৪ জুনের মধ্যে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া। প্রতিবেশী জাপানকে এই পরিকল্পনার কথা জানায় পিয়ংইয়ং। গত বছরের নভেম্বরে তৃতীয় প্রচেষ্টায় প্রথম গোয়েন্দা স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপন করেছিল উত্তর কোরিয়া।
সূত্র: এএফপি, রয়টার্স
এসএএইচ