পশ্চিমবঙ্গ
রিমালের আঘাতে পুরোনো বাড়ি ভেঙে একজনের মৃত্যু
পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ২৭ মে ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে রিমালের আঘাতে এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কলকাতা নীলরতন হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, কলকাতার ১০ নম্বর বিবির বাগান এলাকায় একটি পুরোনো বাড়ি ভেঙে পড়ার কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) রাতে রিমালের প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, রোববার রাতে প্রায় দুঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে রিমেল।
সারারাত রিমেলের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় একটি পুরোনো বাড়ি ভেঙে পড়ে একজন চাপা পড়েন। তাকে উদ্ধার করে নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা দেন। মৃত ব্যক্তির নাম মোঃ সাজিদ, বয়স ৪৮ বছর।
এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৩৫ কিলোমিটার। সোমবার (২৭ মে) সকালেও ঘুর্নিঝড়ের প্রভাব থাকবে বলে জানা গেছে। এরপর রিমেল শক্তি হাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপ হয়ে ক্রমশ উত্তর-পূর্ব দিকে এগোবে।
এই ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে আগামী বুধবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে রিমেলের প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এসব এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
সোমবার কলকাতায় প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে। জানা গেছে, কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় গাছের ডাল আবার কোথাও পুরো গাছ ভেঙ্গে পড়েছে।শরৎ বোস রোডে এক জায়গায় বিদ্যুৎতের খুটি উপড়ে গেছে। এর ফলে যানবাহন চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
- আরও পড়ুন:
- ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বন্ধ করা হলো কলকাতা বিমানবন্দরের কার্যক্রম
- ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গ
কলকাতা কর্পোরেশনের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা ইতোমধ্যেই কলকাতার রাজপথে যেসব গাছ ভেঙ্গে পড়েছে সেগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম জানিয়েছেন, রিমেল মোকাবেলা করার জন্য কলকাতা কর্পোরেশনের বিপর্যয় মোকাবেলার কর্মীরা এবং কর্মকর্তারা প্রস্তুত রয়েছেন। রাজপথে যেসব জায়গায় গাছের ডাল বা গাছ ভেঙে পড়েছে সেগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিডি/টিটিএন