এবার পশ্চিম তীরে দূতাবাস চালুর ঘোষণা দিলো কলম্বিয়া
এবার পশ্চিম তীরের রামাল্লায় দূতাবাস চালু করার ঘোষণা দিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো গাজায় চালানো হামলাকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বুধবার এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, তার দেশ রামাল্লায় একটি দূতাবাস চালু করবে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো ঘোষণা দেন যে, তার সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে। গাজায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। গুস্তাভো পেট্রো ইসরায়েলের কট্টর সমালোচক হিসেবে বেশ পরিচিত।
কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইস মুরিলো সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, পশ্চিম তীরের রামাল্লায় কলম্বিয়ার দূতাবাস স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো।
চলতি মাসের শুরুতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে আহ্বান জানান পেট্রো। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন ঘোষণা দেওয়ার একই দিনেই কলম্বিয়াও গাজায় দূতাবাস চালুর কথা জানালো।
একদিন আগেই নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং স্পেন জানিয়েছে যে, তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে যে, গাজার ওপর তারা আরও আক্রমণ চালিয়ে যাবে এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে আরও নতুন বসতি স্থাপণ করা হবে।
- আরও পড়ুন:
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে ৩ দেশ/ গাজায় আরও হামলা চালানোর হুমকি ইসরায়েলের
- অবশেষে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যে তিন দেশ
- প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে ইরানের ভবিষ্যৎ কী?
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ করে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার ৭০৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা এবং উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শহরে অগ্রসর হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে ওই এলাকার বেসামরিক লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিরীহ মানুষ। খাদ্য, খাবার পানির সংকটের পাশাপাশি তাদের এখন মাথা খোঁজারও কোনো ঠাঁই নেই। কোথায় যাবে, কি করবে কিছুই জানে না এই আশ্রয়হীন মানুষগুলো।
টিটিএন