তাজমহলকে কি টেক্কা দিতে পারবে ভারতের এই নতুন সমাধি?
চীনের দর্শনীয় স্থানগুলোর কথা মনে উঠলেই সবার প্রথমে যেমন ‘গ্রেট ওয়াল অব চায়না’ কথা চোখে ভেসে ওঠে, ফ্রান্স মানেই যেমন আইফেল টাওয়ার, তেমনি ভারত মানেই তাজমহল। বিশ্বখ্যাত সাদা মার্বেল পাথরের এই ‘স্মৃতিসৌধ’ দেখতে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক উত্তর প্রদেশের আগ্রা শহরে ভিড় জমান। এবার সেই শহরেই প্রতিযোগিতার মুখে সম্রাট শাহজাহানের তৈরি এই সপ্তাশ্চর্য। ব্যাপারটা কী?
বিষয়টির আবির্ভাব মূলত রাধাসোয়ামি সৎসঙ্গ মন্দির ঘিরে। সাদা মার্বেলের নতুন এই সমাধিস্থলটিকে এখন অনেকেই তাজমহলের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাজমহল থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে দয়ালবাগের সোমিবাগে রাধাসোয়ামি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠিত ও সদ্য নির্মিত এই সমাধি আকৃষ্ট করছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শনার্থী।
আরও পড়ুন:
- দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুই তরুণীর সেলফিকাণ্ডে হতবাক নেটিজেনরা
- মাটিচাপা দেওয়া বৃদ্ধকে চারদিন পর জীবিত উদ্ধার করলো পুলিশ
- ৩০ বছর আগে মারা যাওয়া মেয়ের জন্য পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন!
আগ্রা শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রয়েছে মন্দিরটি। জানা গেছে, ১৯০৪ সালে এই মন্দিরর নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা এখনো চলছে। এটির প্রতিষ্ঠাতা সোমি শিবদয়াল সিং। আর সমাধিটি উৎসর্গ করা হয়েছে রাধাসোয়ামি বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠাতা পরম পুরুষ পূর্ণধনি স্বামীজি মহারাজকে।
৫২ টি কূপের উপর ভিত্তি করে তৈরি, ১৯৩ ফুট লম্বা এই কাঠামো নিঃসন্দেহে ভারতের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি। যদিও এখনো কিছু ছোটখাটো সংযোজন বাকি রয়েছে।
রাধাসোয়ামি সৎসঙ্গ মন্দিরের মূল কাঠামোর আয়তন একশো বর্গফুটেরও বেশি। গোটা মন্দিরের নকশায় জৈন, মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিস্টান স্থাপত্য একত্রিত হয়েছে। এক শতাব্দী আগে নির্মাণ শুরু হওয়া এই মার্বেল কাঠামোর মন্দিরের কারিগরেরা বংশ পরম্পরায় আজও কাজ করে চলেছেন।
আরও পড়ুন:
- নিজের ছেলেকে হত্যার অভিযোগ নারীর বিরুদ্ধে, সন্দেহ পরকীয়ার জের
- চুরির জন্য প্লেনে ভ্রমণ করতেন তিনি
- ভোট দিলেই সিনেমার টিকিটে ছাড়, ভোটের হার বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ ভারতে
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, আগ্রা শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠছে রাধাসোয়ামি সৎসঙ্গ মন্দির, যেখানে প্রতিদিনই পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকেই এ সমাধির মহিমা দেখে বিস্মিত হচ্ছেন ও এটিকে তাজমহলের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করছেন।
তবে পর্যটকদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, মন্দিরটি দেখতে সুন্দর হলেও কোনোভাবেই তাজমহলের সঙ্গে তুলনা চলে না। এমনিতে বিশ্বজুড়েই তাজমহলের নানা প্রতিরূপ ছড়িয়ে রয়েছে। যার অন্যতম হলো মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গাবাদ শহরের ‘বিবি কা মাকবারা’। বেগম রাবিয়া-উদ-দৌরানির মৃত্যুর পর তাজমহলের নকশা অবলম্বনে একটি সমাধিসৌধ গড়ার নির্দেশ দেন শাহজাহানপুত্র আওরঙ্গজেব, যেটির কাজ শেষ করেন তার বড় ছেলে কুতুব-উদ-দীন মুহাম্মদ আজম।
সূত্র: টাইমস ট্রাভেল
এসএএইচ