জলবায়ু পরিবর্তনের চেয়ে অভিবাসন নিয়ে বেশি আতঙ্কিত ইউরোপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ১১ মে ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তনের চেয়ে অভিবাসন নিয়ে বেশি আতঙ্কিত ইউরোপ, বিশেষ করে জার্মানি। তাই বর্তমানে জার্মানরা অভিবাসী সংখ্যা কমাতেই সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। সম্প্রতি ডেনমার্কভিত্তিক সংস্থা ‘অ্যালায়েন্স অব ডেমোক্রেসিস ফাউন্ডেশন'র এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সংস্থাটির গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি চারজন ইউরোপীয়র মধ্যে একজন মনে করেন, সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকারের তালিকায় ‘অভিবাসন কমানোর’ বিষয়টি থাকা উচিত। ২০২২ সালের আগে এমন মনে করা ইউরোপীয়র সংখ্যা ছিল প্রতি পাঁচজনে একজন।

এদিকে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা মানুষের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে বলে উঠে এসেছে। গবেষণার ফলাফল বলছে, ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো বেশিরভাগ ইউরোপীয়র কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেয়ে অভিবাসন কমানো বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছে। আর এই তালিকায় সবার উপরে আছে জার্মানি।

২০২২ সালে প্রতি চারজন জার্মান নাগরিকের একজন অর্থাৎ ২৫ শতাংশ জার্মান বলেছিলেন, অভিবাসন কমানো তাদের মূল অগ্রাধিকার। ২০২৪ সালে এই হার ৪৪ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে, আর ২০২২ সালে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন অর্থাৎ ৩৩ শতাংশ জার্মান জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। এখন সেই হার ২৫ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে।

অন্যদিকে, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ মনে করেন, তাদের সরকার অল্প কিছু মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে। গণতান্ত্রিক, অগণতান্ত্রিক উভয় দেশের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য। গত চার বছরে এমন উপলব্ধি সবচেয়ে বেশি ছিল লাতিন আমেরিকায়। এশিয়ায় ছিল সবচেয়ে কম। আর ২০২০ সাল থেকে ইউরোপে এই ধারণা ক্রমেই বেড়েছে, বিশেষ করে জার্মানিতে৷

জানা গেছে, গবেষণাটি বিশ্বের ৫৩টি দেশে চালানো হয়। সেগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক দেশ ছাড়াও স্বৈরতান্ত্রিক দেশও আছে। এসব দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশের বেশি মানুষ বাস করেন। গবেষণার মাধ্যমে গণতন্ত্র, সরকারের অগ্রাধিকার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হয়।

গবেষণার ফলাফলে জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে যুদ্ধ ও সহিংসতাকে। এরপর রয়েছে দারিদ্র, ক্ষুধা। তারপর রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।